পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজয় ঠেকাতে জেলায় এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়া নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সোমবার রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে আয়োজিত দলের যুব সংগঠনের বুথভিত্তিক রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ শিবিরে তৃণমূল নেতৃত্ব ওই অভিযোগ। দলের প্রদেশ কমিটির অন্যতম সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, “জেলার বিভিন্ন এলাকায় কংগ্রেস সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজয় ঠেকাতে জেলা এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়া নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।” এ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য, যুব তৃণমূলের রাজ্য কার্যনির্বাহী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ। তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জের পানিশালায় হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য সরকার চাষিদের কাছ থেকে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করবে না। চাষিরা স্বেচ্ছায় জমি দিলে তা অধিগ্রহণ করা হবে। অসীমবাবু অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে পানিশালা এলাকায় জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত করা জমি চাষিরা স্বেচ্ছায় দিতে তৈরি। অথচ দলের নেতৃত্ব লিখিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু জানাচ্ছেন না। রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি অবশ্য ওই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল যেন রায়গঞ্জে তৈরি না হয় সেজন্য তৃণমূল নেতৃত্ব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, “২০০৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জের প্রাক্তণ সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকার ৮২৩ কোটি টাকা খরচে ১০০ একর জমিতে ৯৬০ শয্যার ওই হাসপাতাল তৈরির বিষয়ে ছাড়পত্র দিলেও রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ থেকে পিছিয়ে এসেছে।” হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের দাবিতে আগামী ১১ অক্টোবর জেলা কংগ্রেসের তরফে ‘পানিশালা চলো’ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওইদিন সেখানে একটি পদযাত্রা ও জনসভায় দলের সাংসদ, প্রদেশ সভাপতি একঝাঁক নেতাদের অংশ নেওয়ার কথা। ওই অভিযানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৫০ হাজার কর্মী সমর্থক হাজির হবেন বলে জেলা কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন ওই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এদিন বুথ ভিত্তিক রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য জমি অধিগ্রহণ না করায় জেলা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জেলাবাসী উন্নয়ন বিরোধী বলছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এর প্রভাবের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল আমাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।” |