পুরসভার পুজো-নির্দেশিকাতেও এবার স্থান পেল ডেঙ্গি। পুজোর দিনগুলিতে শহরবাসী এবং পুজো কমিটিগুলিকে কী কী নির্দেশ পালন করতে হবে, তার তালিকা তৈরি করে প্রতিবছরই জলপাইগুড়ি পুরসভা বিলি করে। মহালয়ার পরে রাস্তায় ময়লা না ফেলা, মাইক বিধি, শব্দবাজি বন্ধ করা-সহ সাধারণ বিষয়গুলির পাশাপাশি এবার নির্দেশিকার অনেকটা জুড়েই রয়েছে ডেঙ্গি রোগ নিয়ে নানান নির্দেশ। নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের পরে কাঠামো তুলে ফেলার পাশাপাশি মশার বংশবিস্তার রুখতে এয়ার কুলার, চৌবাচ্চা, ছোট জলাধারে একদিন পরপর জল বদলে ফেলার নির্দেশ রয়েছে। পুরসভার ছাপানো নির্দেশ শহর জুড়ে বিলি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “একমাত্র সচেতনতার প্রসার ডেঙ্গির মোকাবিলা করার প্রধান উপায়। শহর জুড়ে ডেঙ্গির সংক্রমণ ঠেকাতে পুরসভার তরফে মশা মারার তেল, ব্লিচিং ইত্যাদি ছড়ানোর কাজ চলছে। বাসিন্দারাও যাতে নিজেদের মত করে বাড়ি এবং আশেপাশের এলাকা পরিস্কার রাখেন তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকেও মণ্ডপের আশেপাশে পরিষ্কার রাখার জন্য বলা হয়েছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে চলতি অক্টোবর মাসেই জলপাইগুড়িতে ১৫ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা অন্তত ২০। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেও ডেঙ্গি রোগী বা জ্বরের লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের রাখতে পৃথক ওয়ার্ড চালু রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের থেকে পুরসভাকে প্রতিনিয়ত শহরে সংক্রমণের রিপোর্টও পাঠানো হচ্ছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত জানান, পুজো মণ্ডপ তৈরি করতে অকারণে গাছ কাটা, অনুমতি ছাড়া মাইক বাজানো নিয়ে পুরসভার নিষেধ প্রতিবারই কমিটিগুলিকে লিখিতভাবে জানানো হয়। সেখানে শহরবাসীর কী করণীয় তা থাকে। এই নির্দেশ পত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। সে কারণেই এবার ডেঙ্গি সচেতনতাকেও রাখা হয়েছে নির্দেশে। |