কল্যাণীতে এইমস ধাঁচের হাসপাতাল হওয়া মানেই রায়গঞ্জের জন্য দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল এমন নয়সোমবার এই ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সোমবার মালদহে পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, “রায়গঞ্জে ওই হাসপাতাল হতেই পারে। আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু, সেখানে এই হাসপাতাল গড়ার মতো উপযুক্ত জমি তৈরি নেই। পরিকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে। কল্যাণীতে জমি, পরিকাঠামো সবই মজুত। তাই আগে কল্যাণীতে হোক।”
রবিবারই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ বলেছিলেন, “ওই হাসপাতাল হবে রায়গঞ্জেই।” যা শুনে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভোটের বাজারে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োনোর চেষ্টা করছেন। হাসপাতাল ওখানে হবে না।” সুব্রতবাবু অবশ্য এ দিন জানিয়েছেন, কল্যাণীতে হাইওয়ের ধারে একেবারে তৈরি জমি রাজ্যের হাতে রয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, “এটা কেন্দ্রের অনুমোদিত প্রকল্প। কল্যাণী যেহেতু প্রস্তুত, তাই আগে সেখানে এই হাসপাতাল করে দেওয়ার কথা আমরা বলেছি। ভবিষ্যতে রায়গঞ্জে হতেই পারে। একই রাজ্যে এইমস ধাঁচের একাধিক হাসপাতাল হবে না, এমন তো কোনও কথা নেই!” পঞ্চায়েতমন্ত্রীর আরও দাবি, রায়গঞ্জে হাসপাতাল গড়ার জন্য যতটা জমি দিতে চাষিরা ইচ্ছুক বলে শোনা যাচ্ছে, বাস্তবে প্রয়োজনের তুলনায় সেখানে জমি আছে অনেকটাই কম। পুরুলিয়ায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূযর্কান্ত মিশ্রর দাবি, আগের ইউপিএ সরকারকে তাঁরাই রাজ্যে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সূর্যবাবুর মন্তব্য, “আমরা বলেছিলাম রায়গঞ্জে করতে চাইলে করুন জমি দেব। কল্যাণী বা রাজারহাটে করতেও চাইলেও জমি দেব আমরা। আমাদের একটা রাজনীতি আছে। আমরা লড়ি এবং গড়ি। কিন্তু, এরা (তৃণমূল) সবকিছু ভেঙে দিতে চায়।” |