তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বনাম দলেরই বিধায়কের লড়াই দেখল পাত্রসায়র। রবিবার পাত্রসায়র ব্লকের হাটকৃষ্ণনগর হাইস্কুল ও আখড়াশাল হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে দুই নেতা-নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে ভোট-লড়াই হল। সিপিএম বা বিরোধী দলের তরফে প্রার্থী ছিল না। ভোটের শেষে দু’টি স্কুলেই তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর ৬ জন করে মোট ১২ জন প্রার্থী জয়ী হন। পরাজিত হন তৃণমূলের সোনামুখী কেন্দ্রের বিধায়ক দীপালি সাহার গোষ্ঠীর প্রার্থীরা। মূলত তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর নির্বাচনী লড়াইকে ঘিরে স্কুলের আশপাশে উত্তেজনা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, আখড়াশাল এলাকা থেকে রবিবার পাঁচটি বোমা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। হাটকৃষ্ণনগর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে থাকলেও আখড়াশাল হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি সিপিএমের দখলে ছিল। স্নেহেশবাবু বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত প্রার্থীদেরকে অভিভাবকরা জিতিয়েছেন।” দীপালিদেবী অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।”
রবিবার বোরো থানার কুমারী হাইস্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৬টি আসনই দখল করে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা উমাকান্ত মাহাতোর দাবি, “৩০ বছর সিপিএম ওই স্কুল দখলে রেখেছিল। এ বার আমরা মনোনয়ন জমা করতে পারায় অভিভাবকরা জয়ী করেছেন।” সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণপ্রসাদ সিংহদেও বলেন, “ফলের কারণ খতিয়ে দেখব।” কেন্দা থানার চিপিদা বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে ৬টি আসনের জন্য ৩০ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জয়ী হন তৃণমূলের ৪ জন ও সিপিএমের ২ জন। গত বার ওই স্কুলে তৃণমূলের ৬ জন অভিভাবক প্রতিনিধি জিতেছিলেন। |