নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে ভীমপুর গ্রামপঞ্চয়েতের উপপ্রধানের ছেলেকে গ্রেফতার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। নাম উত্তম বিশ্বাস। বাড়ি ডিগরি গ্রামে। রবিবার গভীর রাতে মুত্যু হয় উত্তমের স্ত্রী মিলি বিশ্বাস (৩০)-এর। এরপর তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন উত্তমের বিরুদ্ধে মিলিদেবীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে। উত্তমবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। ও আমাকে মিথ্যা সন্দেহ করত। তাই নিয়ে সামান্য অশান্তি হয়েছিল মাত্র।”
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে হাঁসখালির রামদুলালপুর এলাকার বাসিন্দা মাখনলাল বাইনের মেয়ে মিলির সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তমের। পেশায় গ্রামীন চিকিৎসক উত্তম প্রায় ১৫ বছর ধরে ছত্রিশগড়ের ললুঙ্গাতে কর্মরত। বিয়ের পরে মিলিদেবী সেখানে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পরে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য তিনি পাকাপাকি ভাবে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান। মিলিদেবীর দাদা মোহিতলাল বাইন বলেন, “আমার বোন চলে আসার পর উত্তমের সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁরা এক সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি বোন সেখান গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তারপর থেকে উত্তম মানসিক অত্যাচার শুরু করে।” ছেলের অসুখ শুনে রবিবার বাড়ি ফেরে উত্তম।
উত্তমের দাবি, রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে পাশের ঘরে গলায় গড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন মিলিদেবী। মোহিতলালবাবু বলেন, “আমরা খবর পেয়ে গিয়ে দেখি মেঝেতে শোয়ানো আমার বোনের দেহ। গলায় দড়ি দেওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। আমার বোনকে খুন করে উত্তম ঝুলিয়ে দিয়েছে।” মিলিদেবীর শ্বশুর নরোত্তম বিশ্বাস ভীমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কংগ্রেসের উপপ্রধান। তিনি বলেন, “মাঝরাতে ছেলের ডাক শুনে গিয়ে দেখি, পাশের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে বৌমা। এক মহিলাকে নিয়ে বৌমার সঙ্গে ছেলের গণ্ডগোল হচ্ছিল বলে জানি।” পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে। |