লন্ডন অলিম্পিক চলাকালীন উসেইন বোল্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দৌড়ের পাশাপাশি এ বার লং জাম্পেও নজর দেবেন। দু’মাস যেতে না যেতেই নিজের লক্ষ্য স্থির করে ফেললেন বিশ্বের দ্রুতগামী মানুষ।
চার বছর পর রিও দে জেনিরোয় তিনি দৌড়বেন তাঁর পছন্দের তিন ইভেন্টেই—একশো মিটার, দু’শো মিটার এবং ৪x১০০ মিটার রিলেতে। যে তিন ইভেন্টে তিনি পরপর বেজিং এবং লন্ডন অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন। আর লং জাম্প? বোল্ট চান না ওই তিন ইভেন্টের সোনার পদক রক্ষা করতে গিয়ে কোনও ভাবে লক্ষ্যচূত হতে। নিউজিল্যান্ড সফরে এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেছেন, “রিওতে গিয়ে আমি নিজের কৃতিত্বগুলো রক্ষা করতে চাই। অন্য কোনও ইভেন্টে নামার ইচ্ছে নেই। রিওতে দেখাতে চাই যে আমি ওই ইভেন্টগুলোতে তৃতীয় বারও জিততে পারি।” |
অন্য ভূমিকায়। খুদে প্রতিপক্ষকে বাস্কেটবলে চ্যালেঞ্জ উসেইন বোল্টের। সোমবার অকল্যান্ডে। ছবি: এপি |
আপাতত বোল্টের নজর আগামী বছর মস্কোর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। তবে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন, অলিম্পিকের জন্য কোনও গা-আলগা দেওয়ার ইচ্ছা নেই তার। “কঠোর পরিশ্রমই সব। যখন কম বয়স ছিল তখন লোকে বলত, বয়সের জন্যই নাকি আমি জোরে দৌড়তে পারি। এখন সিনিয়র হিসেবে লড়ার জন্য পরিশ্রমটাও বেশি করতে হয়। গতি বাড়ানোর উপর ফোকাস ধরে রাখছি। যতটা সম্ভব সেটা করতে হবে। প্রতি বছরে আমি সময়টা একটু একটু করে কমাতে চাই।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “নিজের লক্ষ্য থেকে আমি কোনও সরে যাইনি। যাবও না। এখনও রোজ নিজেকে তাতাই এটা বলে যে আমাকে বাকিদের চেয়ে আরও ভাল করতে হবে। বয়সের অজুহাত দিলে চলবে না।”
জামাইকান বিদ্যুৎ শেষ পর্যন্ত রিও-তে তিন ইভেন্টে সোনা জেতার হ্যাটট্রিক করতে পারেবন কি না, সময় বলবে। কিন্তু এ দিন ট্র্যাক-সম্রাটের মুকুটে কিন্তু আরও একটা পালক যোগ হয়ে হয়ে গেল। এই নিয়ে চার বার আন্তর্জাতিক অ্যামেচার অ্যাথলেটিক সংস্থার (আইএএএফ) সেরা অ্যাথলিটের পুরস্কার পেলেন তিনি। শুধু ২০১০ সালকে বাদ দিলে, ২০০৮ থেকে এই পুরস্কার জিতে চলেছেন বোল্ট। আগামী ২৪ নভেম্বর বার্সেলোনায় আইএএফএ-র শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ছেলেদের পুরস্কারের তালিকায় বোল্ট ছাড়াও আছেন তাঁর স্বদেশীয় ইয়োহান ব্লেক। |