এত দিন জানতাম, ক্রিকেটাররা গড়াপেটা করে। জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইচ্ছে করে খারাপ খেলে। আম্পায়াররাও যে একই কাজ করতে পারে, স্টিং অপারেশনের খবরটা না দেখলে বিশ্বাস হত না।
ছ-ছ’জন আম্পায়ার গড়াপেটা করতে চেয়েছে বলে শুনলাম। কখনও শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে। কখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে। আইসিসি জানিয়েছে, ওরা বিশ্বকাপের আম্পায়ার নয়। তবু আগে প্রমাণ দাও। তার পর যা করার করব।
আশ্চর্য! এটা কোনও কথা হল? তুমি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলার অনুমতি দিচ্ছ, অথচ বলছ যে ওরা কেউ আইসিসি প্যানেলের নয়? আমি তো বুঝে পাচ্ছি না, আইসিসি-র যে দুর্নীতিদমন শাখা আছে, তাদের কাজটা কী? কোনও দুর্নীতিই তো ধরতে পারে না। কেন গড়াপেটার খবর বারবার জানতে হচ্ছে মিডিয়ার থেকে? আমের-সলমন বাটদের স্পট ফিক্সিং কাণ্ড সেই মিডিয়াই ফাঁস করেছিল। আম্পায়াররা সবচেয়ে সফ্ট টার্গেট। ওরাও ভুল করে। কিন্তু সেই ভুলটা অনিচ্ছাকৃত, না ইচ্ছাকৃত বুঝব কী করে? ক্রিকেটারদের যে আইসিসি একদফা নির্দেশনামা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধরিয়েছে, সেটা আম্পায়ারদেরও ধরানো উচিত। ফোনের ট্র্যাক রেকর্ড রাখা উচিত। অচেনা কাউকে কাছাকাছি ঘেঁষতে দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু আইসিসি সব দেখেশুনেও চোখ বন্ধ করে থাকছে। আসাদ রউফ যে মহিলাসংক্রান্ত ঘটনায় ধরা পড়ল, তা নিয়ে কিছু করেছে আইসিসি?
নাদির শাহ নামের যে আম্পায়ারের কথা উঠে আসছে, ওর সঙ্গে আমি বাংলাদেশে খেলেছি। ছেলেটা বেশি কথা বলে। কিন্তু সত্যিই যদি এটা করে থাকে ওদের সবাইকে নির্বাসনে পাঠানো উচিত। টি-টোয়েন্টিতে এ সব ঘটার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ এখানে একটা ভুল আউটই অনেক কিছু পাল্টে দিতে পারে। এত কিছুর পরেও আইসিসি চুপ করে থাকবে? থাকলে একটা বিনীত অনুরোধ করব। প্লিজ, টি-টোয়েন্টিটা আপনারা তুলে দিন। ক্রিকেটের মুখ যথেষ্ট পুড়েছে। দয়া করে আর পোড়াবেন না। |