|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা |
বোর্ড মিটিং তলব ৩ কাউন্সিলরেরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য বোর্ড মিটিং ডাকা নিয়ে খড়্গপুরে কংগ্রেস-তৃণমূল চাপানউতোর চলছেই। উপ-পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী আদালতের নির্দেশ মেনে পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর বোর্ড মিটিং না ডাকায় এ বার কংগ্রেস শিবিরের ৩ জন কাউন্সিলরই বোর্ড মিটিং ডাকলেন। আগামী ১১ অক্টোবর কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও মধু ঘোষ এবং নির্দল কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মা মিটিংটি ডেকেছেন বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “পুর আইন মেনেই ৩ জন কাউন্সিলর মিটিং ডেকেছেন।” কংগ্রেসের বক্তব্য, পুর-আইনে বলা হয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে উপ-পুরপ্রধান যদি বোর্ড মিটিং না ডাকেন, তাহলে যে কোনও ৩ জন কাউন্সিলর নিজেরা উদ্যোগী হয়ে বোর্ড মিটিং ডাকতে পারেন। ওই মিটিংয়েই পরবর্তী পুরপ্রধান কে হবেন, তা নিয়ে প্রস্তাব পেশ করা যাবে। তুষারবাবু যেহেতু মিটিং ডাকেননি, তাই ৩ জন কাউন্সিলর নিজেরা উদ্যোগী হয়ে বোর্ড মিটিং ডেকেছেন। মিটিংয়ের চিঠি পৌঁছেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর কাছেও। তিনি বলেন, “চিঠি পেয়েছি। তবে ওই মিটিংয়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। ওটা অবৈধ ভাবে ডাকা হয়েছে।”
পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর অনিতবরণ মন্ডলের অবশ্য বক্তব্য, “৩ জন কাউন্সিলর এ ভাবে জরুরি মিটিং ডাকতেই পারেন। তবে বামফ্রন্টের ৪ কাউন্সিলর পুরপ্রধান ভোটাভুটিতে যোগ দেবেন না।”
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বোর্ড মিটিং হয়েছিল খড়্গপুরে। সেই মিটিংয়ের পরে পুর-দফতরের এক নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল কংগ্রেস। পুর দফতরের নির্দেশে বলা হয়েছিল, পুরপ্রধান জহরলাল পাল নিজের পদেই থাকবেন। পুর-দফতরের ওই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১ অক্টোবর পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেন উপ-পুরপ্রধান তুষারবাবু। এরপর ৭ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা। ৬ অক্টোবর এই মিটিং ডাকার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন পুর- কর্তৃপক্ষ।
কেন ১১ অক্টোবরের মিটিংটি অবৈধ? তুষারবাবু বলেন, “এ ভাবে মিটিং ডাকা যায় না। হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ। পরে চূড়ান্ত শুনানি হবে।” তাঁর কথায়, “এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেছি।” পাশাপাশি, দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধান বলেন, “আমি খুব শীঘ্রই একটি বোর্ড মিটিং ডাকব। যেখানে পুরপ্রধান নির্বাচন নয়, শহরের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। পুজোর আগেই একটা মিটিং করা দরকার।” |
|
|
|
|
|