|
|
|
|
গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী আশার মেয়ে |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে আগেও দু’বার ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এ বার আর শেষ রক্ষা হল না। আশা ভোঁসলের মেয়ে বর্ষা ভোঁসলে রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
এ দিন মুম্বইয়ের পেডার রোডে নিজের বাড়ি থেকে ৫৬ বছরের বর্ষার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। যদিও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। এসিপি (দক্ষিণ) কৃষ্ণ প্রকাশ জানিয়েছেন, আত্মহত্যায় ব্যবহৃত রিভলভারটি কার নামে রয়েছে, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে।
আত্মহত্যার সময় বর্ষা বাড়িতে একা ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগে তাঁর সঙ্গে আশা ভোঁসলে থাকতেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি মধ্য মুম্বইয়ের নতুন বাড়িতে উঠে গিয়েছেন। আশাও একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। মেয়ের আত্মহত্যার খবর পেয়ে গভীর রাতে মুম্বই ফিরে আসেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন গণপতরাও এবং আশা ভোঁসলের মেজ মেয়ে বর্ষা। তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল ফটোগ্রাফার গৌতম রাজাধক্ষ্যের সঙ্গেও। গত বছর গৌতমের মৃত্যুর পর থেকে গভীর অবসাদে চলে যান। চলছিল চিকিৎসা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল দশটা নাগাদ বর্ষার পরিচারিকা দীপালি মানে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। ভিতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে দীপালি আশার গাড়ির চালককে খবর দেন। গাড়ির চালক বলেন, বর্ষা বোধ হয় ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু পরেও ডাকাডাকি করে বর্ষার সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ বাড়তে থাকে। এর পরেই আশা ভোঁসলের গাড়ির চালক লাগোয়া লতা মঙ্গেশকরের ফ্ল্যাট দিয়ে বর্ষার ফ্ল্যাটে ঢোকেন। দেখতে পান সোফার ওপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বর্ষা। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আত্মঘাতী বর্ষা পেশায় গায়িকা এবং কলাম লেখিকা ছিলেন। গান গেয়েছেন বেশ কিছু হিন্দি এবং মরাঠি ছবিতে। অনুষ্ঠান করেছেন আশা ভোঁসলের সঙ্গেও। |
|
|
|
|
|