|
|
|
|
জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ঢুকে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর |
জম্মু-কাশ্মীরে বেকারি নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। এ বার সরকারের চাকরি সংক্রান্ত নীতি নিয়ে বিধানসভার মধ্যেই বিক্ষোভ দেখালেন তিন যুবক। বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এই ঘটনা।
আজ অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎ দর্শকদের গ্যালারি থেকে বিধানসভার ওয়েলে লাফিয়ে পড়েন তিন যুবক। রাজ্যের চাকরি সংক্রান্ত নীতি কার্যকর করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। জম্মু-কাশ্মীর ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট নামে একটি নবগঠিত রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিল তাঁদের হাতে। পরে মার্শালরা তাঁদের সভা থেকে বের করে দেন। এই ঘটনায় কিছু ক্ষণের জন্য অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আদেশ দেন স্পিকার মহম্মদ আকবর লোন। তদন্তে জানা যায়, ওই তিন যুবকের নাম মণীশ খাজুরিয়া, সানি মলহোত্র ও অম্বেডকর গুপ্ত। রাজ্য বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক জগদীশ কুমার সাপোলিয়া জম্মু-কাশ্মীর ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। |
|
বিক্ষোভরত এক যুবককে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মার্শালরা। ছবি: পিটিআই। |
তিনিই ওই তিন যুবককে বিধানসভার প্রবেশপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তিন যুবকের পাশাপাশি সাপোলিয়ার বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়া শুরুর আদেশ দিয়েছেন স্পিকার। তাঁর মতে, বিধানসভায় অশান্তি তৈরির পথ তৈরি করে দিয়েছেন সাপোলিয়া। বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, এক বিধায়কের দেওয়া বৈধ প্রবেশপত্র নিয়েই ওই যুবকরা এসেছিলেন। তাই ঘটনাটি নিন্দনীয় হলেও তা নিয়ে বেশি হই চই করা উচিত নয়। আইন নিজের পথে চলবে। স্পিকারের আদেশ মেনে বিধানসভার সচিবালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। বিক্ষোভকারীরা চাকরি সংক্রান্ত কোন নীতির কথা বলছিলেন তা তিনি বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু, এত সহজে ঘটনা ভুলতে রাজি নয় বিরোধী পিডিপি। তাদের দাবি, বিধানসভার মর্যাদা নষ্ট করতে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দায়ী বিজেপি-র একটি গোষ্ঠী। পিডিপি-র বক্তব্য, বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদি এই তিন যুবক ঢুকতে পেরে থাকেন, তা হলে অন্য কেউও আরও খারাপ উদ্দেশ্যে ঢুকতে পারে। ২০০১ সালে বিধানসভায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।
তিন যুবককে এখন জেরা করছে পুলিশ। পরে স্পিকারকে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে। সাপোলিয়া-সহ সাত জনের বিধায়ক পদ বাতিলের জন্য আগেই স্পিকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, বহিষ্কারের আদেশের বিরুদ্ধে ওই সাত বিধায়ক হাইকোর্টে যাওয়ায় তাঁরা এখনও বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারছেন। |
|
|
|
|
|