বাজার উঠবে এই আশার মধ্যেও সোমবার পড়ল সূচক। তবে পতনের প্রধান কারণ মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রির জের। পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়ার বাজারের পতনও ভারতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এ দিন সেনসেক্স এক ধাক্কায় পড়ে গিয়েছে ২২৯ পয়েন্ট। এ নিয়ে সেনসেক্স টানা দু’দিন পড়ল। এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ছিল ১৮,৭০৮.৯৮ অঙ্কে।
পাশাপাশি এ দিন বড় মাপের পতন হয়েছে টাকার দামেও। ডলার লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকার দাম এই দিন ৭৯ পয়সা পড়ে যায়। চলতি আর্থিক বছরে এটিই টাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম পতন। দিনের শেষে এক ডলারের দাম ছিল ৫২.৬৪ টাকা।
বাজার এ দিন এতটাই মনমরা ছিল যে, দেশের আর্থিক হাল নিয়ে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ইতিবাচক মন্তব্যও তাকে চাঙ্গা করতে পারেনি। চিদম্বরম বলেন, দেশের আর্থিক অবস্থা মজবুত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে ইউপিএ সরকার বদ্ধপরিকর। এ বছর থেকে শুরু করে আগামী ৫ বছরে আয়-ব্যয়ের ঘাটতি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনবে কেন্দ্র।
তবে সূচকের এই পতন সাময়িক বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা, সূচকের গতি উপরের দিকেই থাকবে। এই আশার অন্যতম কারণ, ভারতের বাজারে বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি। তারা কিন্তু টানা শেয়ার কিনে চলেছে। গত শুক্রবারও তারা ৪৩৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার কিনেছে বলে বাজার সূত্রের খূবর। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ অবশ্য মনে করেন, সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তগুলি সংসদে পাশ করানো কঠিন হবে। এই কারণে সূচকের দৌড় যতটা দ্রুত হওয়া উচিত ছিল, তা হবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের।
এ দিন বাজার পড়েছে মূলত রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ কিছু নামী সংস্থার পতনের ফলেই। রিলায়্যান্সের দর এ দিন এক ধাক্কায় পড়ে যায় ৪.৫১%। সংস্থার লগ্নিরকারীরা লাভের টাকা তুলতে টানা শেয়ার বিক্রি করার ফলেই দাম এতটা পড়েছে বলে বাজার সূত্রের খবর। পাশাপাশি লার্সেন টুব্রো, ভেল, টাটা মোটরস-সহ আরও কিছু ব্লু-চিপ সংস্থার দরও এ দিন পড়েছে। পিটিআইয়ের খবর, এ দিন সেনসেক্সের ৩০টি শেয়ারের মধ্যে ২২টির দামই পড়ে যায়। |