|
দুর্গার সঙ্গে পুজো পান শিবও
দয়াল সেনগুপ্ত • রাজনগর |
|
তৈরি হচ্ছে দুর্গা। যেটুকু মাটির কাজ হয়েছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়, ষাঁড়ের পিঠে বসে রয়েছেন শিব ও দুর্গা। পাশে শিবের দুই অনুচর নন্দী এবং ভৃঙ্গী। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর বা তাঁদের বাহনরা সঙ্গে কেউ নেই। তবে এটি কোনও থিম পুজো নয়। রাজনগরের তাঁতিপাড়া গ্রামের দাস পরিবারের পুজো। বহু বছর ধরে এভাবেই শিব-দুর্গার পুজো হয়ে আসছে। গ্রামে ওই মন্দিরটিও শিব-দুর্গা মন্দির নামে পরিচিত। কিন্তু কত বছর ধরে বা ঠিক কী কারণে এই পুজো হচ্ছে তা খুব একটা স্পষ্ট করতে পারেননি বর্তমানে ওই পুজোর দায়িত্বে থাকা শরিকেরা। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, বংশ পরম্পরায় তাঁরা শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো চালালেও এই পুজো শুরু করেছিলেন গ্রামের এক বৃদ্ধা। |
রাজনগরের তাঁতিপাড়া গ্রামের দাস পরিবারের দুর্গা প্রতিমা। —নিজস্ব চিত্র। |
পালা করে পুজোর দায়িত্ব নেন দাস পরিবারের বংশধরেরা। এ বার যাঁরা দায়িত্বে আছেন সেই শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর খুড়তুতো ভাই গদাধর দাসেদের কথায়, “বাপ-ঠাকুরদার কাছ থেকে যেটুকু শুনেছি বহু বছর আগে ‘কোলে বুড়ি’ নামে এক বৃদ্ধা নবদ্বীপ বেড়াতে গিয়ে এই আদলের মূর্তি দেখে এসে গ্রামে শিব-দুর্গা পুজোর প্রচলন করেছিলেন। কিন্তু পরে ওঁর বংশের আর কেউ না থাকায় তিনি পুজোর দায়িত্ব আমাদের বংশের কাউকে দিয়ে যান। তবে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর বা তাঁদের বাহনরা দুর্গার সঙ্গে না থাকলেও অন্য দুর্গাপুজোর সঙ্গে ওই পুজোর রীতিতে কোনও তফাৎ নেই।”
সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্নান থেকে দশমীর সন্ধ্যায় বিসর্জনে নিজেদের বাড়ির লোকজন আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আনন্দে মেতে উঠতে তৈরি পরিবারের মহিলা, শিশুরাও। এখন শুধু প্রহর গোনা। |