দুষ্কৃতীদের মারে জখম হয়ে প্রায় দু’সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোমবার কালনা থানায় চড়াও হন স্থানীয় কিছু লোকজন। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। থানার আশপাশের কিছু বাড়ি ও দোকানেও ভাঙচুর হয়। পুলিশ অবশ্য জানায়, ওই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে নদিয়ার শান্তিপুর থেকে ফেরার পথে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু কালনা শ্মশানঘাটের কাছে রাজু পাল (৩২) নামে ওই ব্যবসায়ীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর বাড়ি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশ তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার রাতে বর্ধমানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর। ময়না-তদন্তের পরে সোমবার মৃতদেহ নিয়ে কালনা থানায় বিক্ষোভ দেখাতে যান এলাকার বাসিন্দারা। থানার ভিতর ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়। জখম হন এক মহিলা-সহ দু’জন পুলিশকর্মী। এলাকার চারটি দোকান ও চারটি বাড়িতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। একটি বাড়ি থেকে জিনিসপত্র বের করে এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বাসিন্দাদের দাবি, এক জনের বাড়ি থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত কাটিগঙ্গা এলাকায় পুলিশি টহল চলে। পুলিশ জানায়, জনতার উদ্ধার করা অস্ত্রটি কোথা থেকে কী ভাবে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
বাস উল্টে জখম হলেন ২৬ জন যাত্রী। সোমবার দুপুরে কুমিরকোলা থেকে বর্ধমান যাওয়ার পথে খণ্ডঘোষের শশঙ্গার কাছে একটি বাস উল্টে যায়। জখমদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। |