|
|
|
|
জল মিলল দুর্গাপুরে |
বারো ঘণ্টা নির্জলা চেন্নাইমুখী এক্সপ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শুক্রবার রাতে চেন্নাই যাত্রা করেছিল ২২৬১২ ডাউন এনজেপি-চেন্নাই এক্সপ্রেস। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার পরেই ৫টি দ্বিতীয় শ্রেণির সংরক্ষিত কামরায় যাত্রীরা দেখেন জল নেই। চেন্নাইগামী ওই ট্রেনে বরাবরই অসুস্থ যাত্রীদের ভিড় থাকে। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। পাঁচটি কামরায় অনেকেরই গন্তব্য ছিল দক্ষিণ ভারতের সরকারি, বেসরকারী বিভিন্ন হাসপাতাল। কিন্তু জল না থাকায় রাত থেকেই শুরু হয় যাত্রীদের দুর্ভোগ।
যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন থেকেই তাঁরা এনজেপি এবং মালদহ, দুটি বড় স্টেশনে যোগাযোগ করে তাঁদের দুর্ভোগের কথা জানান। ফল হয়নি। একের পর এক স্টেশন পেরিয়ে গেলেও জলের ব্যবস্থা হয়নি ওই কামরাগুলিতে। বাধ্য হয়ে তাঁদের বোতলের জল কিনে চালাতে হয়। রাতের দুর্ভোগ দিনেও মেটেনি। শেষ পর্যন্ত শনিবার বেলা সওয়া দশটা নাগাদ মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকার পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে রেলকর্তাদের বিষয়টি জানান। আর নড়েচড়ে বসে রেল কর্তৃপক্ষ। বেলার দিকে ট্রেনটি দূর্গাপুর স্টেশনে পৌঁছলে শেষ পর্যন্ত ওই কামরাগুলিতে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
যাত্রীদের এমন হয়রানির ঘটনায় ক্ষুব্ধ শঙ্করবাবু বলেন, “বিষয়টি রেলমন্ত্রীকে জানাব। উত্তরবঙ্গের মানুষ ওই ট্রেনেই চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যান। এমন একটি ট্রেনে বারো ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জল থাকবে না? রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, এর কারণ খুঁজে দেখুন।”
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুব্রত হাজংও ‘অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর’ বলে মন্তব্য করেছেন। গুয়াহাটি থেকে তিনি বলেন, “এমন হওয়ার কথা নয়। আমরা এ ব্যাপারে বিশদে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী জানান, খবর পেয়েই তিনি আসানসোল ডিভিশনের রেল কর্তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। দূর্গাপুরে ট্রেনটি এলে তা থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে জলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন, কামরায় জল সরবরাহ ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা এনজেপি স্টেশনে পরীক্ষা করে নেওয়া হল না কেন? রেলের কোনও কর্তার কাছেই এর কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। |
|
|
|
|
|