|
|
|
|
গীতিকা-কাণ্ডে চার্জশিট কাণ্ডা ও চাড্ডার বিরুদ্ধে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
গীতিকা শর্মা আত্মহত্যা মামলায় হরিয়ানার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গোপাল কাণ্ডা ও তাঁর সহযোগী অরুণা চাড্ডার বিরুদ্ধে আজ চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, শাসানি ও ভয় দেখানো, প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ এনে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, গীতিকার আত্মহত্যার আগেই গোপাল কাণ্ডা তাঁকে ফোন করেছিলেন। ফোনে তাঁদের ঝগড়া হওয়ার পরই সম্ভবত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন গীতিকা।
গত ৫ অগস্ট দিল্লির অশোক বিহার এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এমডিএলআর বিমান সংস্থার প্রাক্তন বিমানসেবিকা ২৩ বছরের গীতিকার দেহ। ঘর থেকে মেলে গীতিকার সুইসাইড নোট। এমডিএলআর সংস্থার চেয়ারম্যান গোপাল কাণ্ডা ও আর এক অফিসার অরুণা চাড্ডাকে তাঁর আত্মহত্যার জন্য কার্যত দায়ী করে গিয়েছিলেন গীতিকা। সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন, ‘ওদের বিশ্বাস করে আমায় ঠকতে হল। নিজেদের সুবিধার জন্য ওরা আমায় ব্যবহার করেছে।’ চিঠিতে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর আবার ওই চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য অরুণা চাড্ডা তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন গীতিকা।
গীতিকা-আত্মহত্যার পরই মন্ত্রী-পদে ইস্তফা দেন গোপাল কাণ্ডা। কিন্তু তার পর তেরো দিন কেটে গেলেও কাণ্ডার কোনও খোঁজই পায়নি দিল্লি পুলিশ। পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে বেরোনোর সময়ই দিল্লির দায়রা আদালত ও হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন হরিয়ানার এই প্রাক্তন মন্ত্রী। দুই আদালতেই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ১৮ অগস্ট গভীর রাতে অশোক বিহার থানায় আত্মসমর্পণ করেন কাণ্ডা। অন্য দিকে, অরুণা চাড্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ৮ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়। কাণ্ডা ও চাড্ডা- দু’জনেই বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
কাণ্ডার গ্রেফতারের পর অভিযুক্তদের নিয়ে গুড়গাঁওয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান সংস্থাটির অফিসে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে কম্পিউটারের তিনটি হার্ড ডিস্ক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে তখনই জানিয়েছিল তারা। আজ ১০২০ পাতার দীর্ঘ চার্জশিটে প্রমাণ লোপাটের এই অভিযোগও আনা হয়েছে পুলিশের তরফে। আগামী ৯ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন অতিরিক্ত মুখ্য মোট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। |
|
|
|
|
|