ক্যুরিয়র কর্মী সেজে লুঠ
ক্যুরিয়র সংস্থার কর্মী সেজে, গৃহকত্রীকে বেহুঁশ করে টাকা-গয়না লুঠ করে পালাল এক যুবক। শনিবার দুপুরে সোনারপুর থানার গড়িয়া স্টেশন রোডের এক বহুতল আবাসনে এই ঘটনা ঘটে। ওই আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কী রাসায়নিক ব্যবহার করে মহিলাকে অজ্ঞান করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডাকা হচ্ছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।
পুলিশ জানায়, গড়িয়া মেন রোডের জনবহুল এলাকায় ত্রিবেণী আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন পাল। তাঁর স্ত্রী কল্পনা এ দিন দুপুরে ফ্ল্যাটে একা ছিলেন। কল্পনাদেবী পুলিশকে জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ ফর্সা, লম্বা চেহারার এক যুবক ফ্ল্যাটে আসে। সে নিজেকে ক্যুরিয়ার সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে বলে চিত্তরঞ্জনবাবুর নামে চিঠি আছে। কল্পনাদেবী সই করে চিঠি নিতে গেলে সে তাঁর নাকে রুমাল চেপে ধরে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জ্ঞান হারান।
লুঠের পর কল্পনাদেবী। —নিজস্ব চিত্র
চিত্তরঞ্জনবাবু পৌনে দু’টো নাগাদ ফিরে এসে দেখেন, স্ত্রী ‘অচৈতন্য’ অবস্থায় পড়ে আছেন। চোখে-মুখে জল দেওয়ার পর বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ কল্পনাদেবীর জ্ঞান ফেরে। স্থানীয় চিকিৎসক চিত্তরঞ্জনবাবুকে জানিয়েছেন, ‘অজ্ঞান’ করার জন্য ইথার বা স্পিরিট জাতীয় কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল।
পুলিশকে চিত্তরঞ্জনবাবু জানান, বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না ও নগদ কুড়ি হাজার টাকা আলমারি থেকে হাতানো হয়েছে। তবে, ঘর থেকে একটিও মোবাইল ফোন চুরি যায়নি। পুলিশের প্রশ্ন, চুরিই যদি আসল উদ্দেশ্য হয়, সেক্ষেত্রে অন্য কোনও মূল্যবান জিনিস চুরি গেল না কেন।
পাশাপাশি পুলিশের দাবি, ফ্ল্যাটে ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলেনি। মহিলা জ্ঞান ফেরার পরে বমিও করেননি। কল্পনাদেবীর বয়ান অনুযায়ী, ওই যুবকের স্কেচ আঁকানো হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পুলিশ সুুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “তদন্ত চলছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হচ্ছে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.