দ্বিতীয় বারের জন্য বারাক ওবামার হোয়াইট হাউস দখলের লড়াই কিছুটা অক্সিজেন পেল। দেশের শ্রম দফতরের এক সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায় এক লক্ষ চোদ্দো হাজার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে দেশের বেকারত্বের হার নেমে গিয়েছে ৭.৮ শতাংশে, ২০০৯ সাল থেকে যা সর্বনিম্ন। প্রেসিডেন্ট ওবামার চার বছরের রাজ্যপাটেও এই হার সব থেকে কম।
অর্থনীতির দুর্দশাগ্রস্ত ছবি আর বাড়তে থাকা বেকারত্ব এ বারের নির্বাচনে ওবামার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের হাতিয়ার মূলত এই দু’টিই। মঙ্গলবার রাতে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে আমেরিকার দুর্দশাকে হাতিয়ার করে মিট রোমনির তীক্ষ্ন আক্রমণের সামনে কার্যত অসহায় দেখিয়েছে ওবামাকে। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন এই রিপোর্টে উজ্জীবিত ওবামা-শিবির।
নয়া পরিসংখ্যান কাজে লাগাতে দেরি করেননি ওবামা-ও। রিপোর্টটি প্রকাশের কিছু পরেই ভার্জিনিয়ায় এক প্রচার সভায় তিনি বলেন, “যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলাম, তখন প্রতি মাসে আট লক্ষ মানুষ চাকরি খোয়াচ্ছিলেন। গত আড়াই বছরে অন্তত পঞ্চাশ লাখ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। এবং আজ সকালেই জানা গিয়েছে, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেকারত্ব সর্বনিম্ন মাত্রা ছুঁয়েছে।”
ওবামার ঝিমিয়ে পড়া নির্বাচন-প্রচারকে চাঙ্গা করতে এর থেকে ভাল কিছু হতে পারত না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজকের প্রচার সভায় তার প্রমাণও মিলেছে। রক্ষণাত্মক ভাবমূর্তি ছেড়ে আজ অনেকটাই আক্রমণাত্মক ছিলেন ওবামা। পিছপা হননি রোমনির সমালোচনা করতেও। তিনি বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে আমেরিকা আবার এগোচ্ছে। যে দুর্দশায় আমরা পড়েছিলাম, সেটা অনেকটাই পিছনে ফেলে এসেছি। কিন্তু গভর্নর রোমনি যে সব পথ দেখাচ্ছেন, তাতে আমরা আবার সেই অবস্থায় ফিরে যাব। এটা হতে দেওয়া যায় না। সেই জন্যই আমি ফের আমেরিকার দায়িত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছি।” পাল্টা যুক্তি তৈরি রিপাবলিকানদেরও। তাঁরা বলছেন, আমেরিকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির যা হার, তার নিরিখে এক লক্ষ চোদ্দো হাজার নতুন চাকরি কিছুই নয়।
আগামী ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হবেন ওবামা-রোমনি। নতুন এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে তাতে ওবামা ‘স্টেপ আউট’ করেন কি না সেটাই দেখার। |