দীর্ঘ আট বছরের আইনি লড়াই শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত ধর্মগুরু আবু হামজা অল-মাসরি ও তাঁর চার সঙ্গীকে আমেরিকায় প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছে লন্ডন হাইকোর্ট। আর সময় নষ্ট করেনি ব্রিটিশ সরকার। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবু হামজাকে চড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকাগামী বিমানে। কিছুটা চুপিসাড়েই। চার ‘সঙ্গীকে’ নিয়ে শনিবার সকালে নিউ ইয়র্ক পৌঁছেছেন হামজা।
আমেরিকায় অন্তত এগারোটি সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে হামজার বিরুদ্ধে। এমনকী তিনি আল-কায়দার ধাঁচে আমেরিকায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ। ১৯৯৮ সালে ইয়েমেনে ১৬ জন বিদেশিকে পণবন্দি করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গেও হামজা জড়িত বলে ধারণা আমেরিকার। ১৯৭৯ সাল থেকে ব্রিটেনে ছিলেন হামজা। সেখানেও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অভিযুক্ত তিনি। আমেরিকা হামজার প্রত্যর্পণের আর্জি জানানোর আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ব্রিটিশ পুলিশ। তার পরে শুরু হয় আইনি লড়াই।
প্রত্যর্পণ এড়ানোর জন্য সম্ভাব্য সব কৌশল ব্যবহার করেছেন হামজা ও তাঁর সঙ্গীরা। এমনকী, হামজা অসুস্থ বলেও জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দেওয়ায় খুশি ব্রিটিশ সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে-র কথায়, “অবশেষে আদালতের সিদ্ধান্তের ফলে এঁদের দেশ থেকে বার করে দেওয়া যাবে।” ব্রিটিশ বায়ুসেনার মিল্ডেনহল ঘাঁটি থেকে বিশেষ বিমানে আমেরিকার পথে রওনা হন হামজা ও তাঁর সঙ্গীরা। এখন তাঁদের ঠিকানা নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন সংশোধনাগার। সরকারি সূত্রে খবর, রবিবার হামজাকে মার্কিন আদালতে পেশ করা হবে। |