মিছিল যদি কেউ বন্ধ করতে চায়, তা হলে সেটা পাক সরকারই। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের উপজাতিরাই ইমরান ও তাঁর দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা জোগানোর ব্যবস্থা করছেন বলে খবর।
“আমরা শান্তির জন্য কাজ করছি, আর সেটার কেউই বিরোধিতা করছে না। আমরা চাই উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার নীতি পরিবর্তন করা হোক,” বলেছেন ইমরান। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই শান্তিমিছিল যদি বন্ধ হয়, তা হলে তার জন্য দায়ী থাকবে পাক সরকার ও তার শরিক জামাত-উলেমা-ই-ইসলামি। জামাত নেতা মৌলানা ফজলুর রেহমানকেও এক হাত নিয়েছেন ইমরান। ইমরানের অভিযোগ, “ফজলুর রেহমান আমাদের বিরুদ্ধে বিষ ছড়াচ্ছে। আমাদের ইহুদি আর খ্রিস্টানদের দালাল বলা হচ্ছে। সরকার এক দিকে ড্রোন হামলার সমালোচনা করছে কিন্তু মনে মনে চাইছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলুক, কারণ তাতে ওদের মুনাফা আছে।” |
মিছিলে সমর্থকদের সঙ্গে ইমরান খান। ইসলামাবাদের কাছে। ছবি: এ এফ পি |
ইমরানের এই মিছিলে অংশ নিচ্ছেন আমেরিকা ও অন্য পশ্চিমী দেশগুলির প্রায় ৩০ জন শান্তিকর্মীও। কিন্তু খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রশাসন পরিষ্কার জানিয়েছে, বিদেশিদের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আজ রাতটা ওই প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খানে কাটাবেন ইমরানরা।
এই শান্তি মিছিল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই নানা টালবাহানা চলছে। প্রথম থেকেই প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল, মিছিলে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে তালিবান। ইমরান যদিও নিজে সেই হুমকি উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এর মধ্যেই পাক সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়ায় যে, হামলা নয়, ইমরানকে নাকি নিরাপত্তা দেবে তালিবান। কিন্তু তালিবানের তরফ থেকে সেই দাবিও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান গত কালই জানিয়ে দিয়েছে, ইমরানের নিরাপত্তার কোনও রকম ব্যবস্থাই তারা করছে না। তালিবানের মুখপাত্র ইনসাউল্লাহ এহসান উল্টে ইমরান ও অন্য পাকিস্তানি নেতাদের পশ্চিমের দাস আখ্যা দিয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের প্রশাসন জানিয়েছে, ন’জন আত্মঘাতী জঙ্গিকে কোটকাই গ্রামে পাঠিয়েছে জঙ্গিরা। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলা চালাতেই নাকি তাদের পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় ইমরান খানের এই শান্তিমিছিল আদৌ শান্তিতে শেষ হয় কি না, সেটাই দেখার। |