ষষ্ঠ শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী যুবককে গণপিটুনি দিল এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে। শুক্রবার ইলামবাজার থানা এলাকার ওই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত মহাদেব পাইককে গ্রেফতার করে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই যুবককে মারধর করছিল। পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে। ধৃত যুবক এখন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেলে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
অভিযুক্ত মহাদেব পাইক। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
রক্তক্ষরণ বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই নাবালিকাকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
ওই নাবালিকার কাকার অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাদেব পুকুরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করে। ভয়ে বাড়ির কাউকে কিছু বলেনি। কিন্তু রাতের দিকে শরীরের অবস্থা বিগড়োতে থাকায় দুপুরের ঘটনার কথা জানায়।” ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে খবর শুক্রবার সকালে চাউর হতেই এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে ভিড় জমান। তাঁরা ওই যুবককে ধরে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন। একটি খুঁটিতে বেঁধে চলে গণপিটুনি। পরে খবর পেয়ে ইলামবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। ওই যুবক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” |