রেললাইন পার হওয়ার ফুটওভার ব্রিজ বছর কয়েক ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ট্রেন চলে যাওয়ার পরেও রেল ফটক তোলা হয় না। এমনই কিছু অভিযোগ তুলে শুক্রবার রামপুরহাট শহরের চাঁদমারি রেল ফটকের কাছে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ওই রেল ফটক পার হওয়ার সমস্যা দূর করতে রেলকে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবরোধের জেরে দু’টি ট্রেন কিছুটা দেরিতে রওনা হয়। পরে রেল পুলিশ ও রেলের আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করার পরে অবরোধ ওঠে। ওই রেল ফটক দিয়ে রামপুরহাট শহরের ১, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। রামপুরহাট শহর লাগোয়া কুশুম্বা, আয়াষ ও নারায়ণপুর পঞ্চায়েতেরও কয়েক হাজার বাসিন্দা দৈনিক ওই ফটক পেরিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেন চলে যাওয়ার পরেও বেশ কিছু ক্ষণ ধরে রেল ফটক ফেলে রাখা হয়। ফলে রেল ফটকের দু’দিকেই গাড়ি ও মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। কিছু বাসিন্দা বিপজ্জনক ভাবে রেল ফটকের নীচে সাইকেল ঢুকিয়ে নিয়ে যাতায়াত করছিলেন। বুধবার রাতে রেল কর্মীরা দু’পাশের ফটকের উচ্চতা নামিয়ে দেওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। আর মূলত এর জেরেই এ দিনের অবরোধ। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ভাবে পার হওয়ার সময় ট্রেন চলে এলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই রেল ফটক নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে বাসিন্দাদের আরও দাবি, রেল ফটক এ ভাবে নামিয়ে দেওয়ায় পথচারীরাও এখন রেল লাইন পার হতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, আগে এই এলাকায় একটি ফুট ওভার ব্রিজ ছিল। পথচারীরা ওই ব্রিজ পেরিয়ে অন্য পারে যেতে পারতেন। তাঁদের সময় নষ্ট হত না। কিন্তু বছর খানেক আগে একটি মালগাড়ির ধাক্কায় ওই সেতু ভেঙে পড়ে। তা আর মেরামত করা হয়নি। ফলে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার করাতে বাধ্য করছে বলে অবরোধকারীদের অভিযোগ।
রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার অলোক কুমার বলেন, “রেল ফটক বিপজ্জনক ভাবে উপরে ছিল। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাই রেল ফটক কিছুটা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, ওই ফুট ওভার ব্রিজটি সংস্কারের জন্য অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সংস্কার হতে কিছু সময় লাগবে।” রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ২টা থেকে এক ঘণ্টার অবরোধে রামপুরহাট স্টেশনের বাইরে আধ ঘণ্টা আটকে যায় শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। আজিমগঞ্জগামী লোকাল ট্রেন এক ঘণ্টা দেরিতে রামপুরহাট স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। |