দম্পতির দেহ উদ্ধার মন্তেশ্বরে
রের মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল বধূর দেহ। বাড়ি থেকে খানিক দূরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছে মিলল তাঁর স্বামীর দেহ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মন্তেশ্বরের মধ্যমগ্রামে এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধন দাস (৩৫) ও শ্যামলী দাস (৩০) নামে ওই দম্পতির দুই ছেলে। সাধনবাবু পেশায় খেতমজুর। বৃহস্পতিবার রাতে সাধনবাবু ও শ্যামলীদেবী একটি ঘরে ঘুমোতে যান। অন্য ঘরে দুই নাতিকে নিয়ে শুয়েছিলেন সাধনবাবুর মা নমিতাদেবী।
শোকার্ত মা।—নিজস্ব চিত্র।
তিনি জানান, রাত ১টা নাগাদ এক প্রতিবেশী তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানান, সাধনবাবুদের ঘর থেকে গোঙানির শব্দ শুনেছেন তিনি। তড়িঘড়ি ছেলের ঘরে গিয়ে নমিতাদেবী দেখেন, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শ্যামলীদেবীর দেহ। তাঁর সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ। নমিতাদেবী জানান, এই ঘটনা দেখে প্রথমে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। এর পরে ছেলের খোঁজ শুরু হয়। বাড়ি থেকে খানিক দূরেই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছে সাধনবাবুরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
শুক্রবার নমিতাদেবী বলেন, “গত এক মাস ছেলের তেমন রোজগার ছিল না। সে নিয়ে দিন দশেক ধরে ছেলে-বৌমার মধ্যে অশান্তি চলছিল। আমার ছেলে চাপা স্বভাবের ছিল। মুখ ফুটে কিছু বলত না। এমন ঘটবে ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি।”
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সাধনবাবু নানা নেশা করতেন। তবে ঠিক কী কারণে দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল, তা পুলিশ জানতে পারেনি। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ধারণা, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। তবে ঠিক কী ঘটেছে তা জানার জন্য সবিস্তার তদন্ত শুরু হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.