স্কুল পরিচালন সমিতির ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হল সিপিএম-তৃণমূলে। জখম হন দু’পক্ষের মোট পাঁচ জন। ঘটনার পরে সিপিএমের লোকজন পথ অবরোধ করেন। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে জামুড়িয়া থানায় মারধরের অভিযোগ করেছে। এ দিন এই গণ্ডগোলের জেরে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাজপুর-নন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ে মনোনয়ন দাখিল করার দিন ছিল। সকালেই সিপিএম এবং তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা স্কুলের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমে বচসা, তা থেকে মারপিট শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা স্কুল প্রাঙ্গণ ছেড়ে জামুড়িয়ার নন্ডি মোড়ে গিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। |
সিপিএমের সমর্থনে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া নিতাই রুইদাস ও রাজবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, তাঁরা এ দিন স্কুলের সামনে যেতেই তৃণমূলের লোকজন রড নিয়ে তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিতাইবাবুর হাত ভাঙে, কোমরে চোট পান রাজবিহারীহবাবু।
তৃণমূলের প্রদেশ কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “এ দিন তীর-ধনুক ও লাঠি হাতে সিপিএম সমর্থকেরা মিছিল করে স্কুলে পৌঁছয়। আমরা তাদের অস্ত্রশস্ত্র রেখে আসার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা শোনেনি। উল্টে আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের মৃদুল চক্রবর্তী, বিশু নায়েক এবং কাজল নায়েক জখম হয়েছেন। তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।”
সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের অভিযোগ, “তিন বছর আগে এই স্কুলের ভোটে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল। আমরা তো বাধা দিইনি। ৫-১ ফলে আমাদের সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছিলেন।” হারাধনবাবুর পাল্টা বক্তব্য, “সে বার গণনা শুরু হওয়ার আগে সিপিএম সমর্থকেরা মারধর করে আমাদের কর্মীদের বের করে দেয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |