...সময় এল কাছে |
ছেলেবেলার দুগ্গাঠাকুর
স্বপ্ন দেখতে দেখতে পুরীর মন্দিরে। খিদিরপুর, রামনগর
ও গার্ডেনরিচের পুজোর
খোঁজ নিলেন দীক্ষা ভুঁইয়া |
|
|
খিদিরপুর পল্লি শারদীয়া: আলো-আঁধারির মাধ্যমে মণ্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল। ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অ্যালুমিনিয়াম পাত, টিন, রট আয়রন, সিন্থেটিক তুলো। মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা। মূর্তির পিছনে থাকছে দীর্ঘ ১৬ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ, সেখানে আলোর মাধ্যমে বলয় তৈরি করা হবে।
খিদিরপুর উদয়ন ক্লাব: ৬৬ বছরের পুজোর থিম ‘আমি’। গাছের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহার করা হচ্ছে বনসাই। মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে শালপাতা দিয়ে। মণ্ডপে দর্শকেরা তাঁদের প্রতিবিম্ব দেখতে পাবেন বিভিন্ন মাধ্যমে। থাকছে আলো-আঁধারির খেলা। |
|
|
খিদিরপুর মনসাতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি |
খিদিরপুর পল্লি শারদীয়া |
|
খিদিরপুর কবিতীর্থ: মণ্ডপসজ্জায় গ্রিক এবং ভারতীয় স্থাপত্যের মেলবন্ধন। প্লাই ও ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৬০ বছরের পুজোর মণ্ডপ। কালিকাপুরাণে বর্ণিত হিমালয়কন্যার আদলে প্রতিমা। থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা।
খিদিরপুর ভেনাস ক্লাব: থিম ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’। জামাইষষ্ঠী, রাখিপূর্ণিমা, অরন্ধন-সহ বাঙালির বিভিন্ন পার্বণ তুলে ধরা হচ্ছে ৬৭ বছরের পুজোমণ্ডপে। কাপড়ের উপর থার্মোকল আর রং দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন উৎসব। অকালবোধনকে মনে রেখে দুর্গার পাশাপাশি মণ্ডপে থাকছেন রাম, লক্ষ্মণ এবং হনুমান। |
|
|
রামনগর পুলিশ ক্যাম্প দুর্গোৎসব কমিটি |
খিদিরপুর নবরাগ |
|
খিদিরপুর নবরাগ: থিম ‘আমাদের ছেলেবেলা’। শিশুদের চোখ দিয়ে ‘দুগ্গাঠাকুর’ দেখানো হবে এই পুজোয়। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে ছোটদের ছাতা, ব্যাট-বল সমেত নানা জিনিস।
খিদিরপুর যুবক সঙ্ঘ: ৭৫ বছরের পুজোর মণ্ডপ দিল্লির নাগেশ্বর মন্দিরের আদলে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে থার্মোকল ও রঙিন কাপড়।
প্রতিমা কৃষ্ণনগরের।
খিদিরপুর যুবগোষ্ঠী: ৫১ বছরের সাবেক পজো। ১৬ ফুট উচ্চতার প্রতিমা। থাকছে আলোর খেলা।
খিদিরপুর ব্যায়াম সমিতি: প্রতিমা সাবেক হলেও মণ্ডপসজ্জায় থাকছে থিম। ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের বাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে ৮৫ বছরের পুজোর মণ্ডপ।
খিদিরপুর ২৬ পল্লি: ঠাকুরদালানের আদলে ৮৪ বছরের পুজোর মণ্ডপ। |
|
|
খিদিরপুর মিলন সঙ্ঘ |
খিদিরপুর ৭৪ পল্লি |
|
খিদিরপুর ৭৪ পল্লি: থিম ‘স্বপ্ন’: মণ্ডপের
ভিতরে ব্যবহার হচ্ছে রঙিন প্লাস্টিকের কাপ। কাপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে আটটি আলাদা দেওয়াল। প্রতিমাশিল্পী কৃষ্ণনগরের।
খিদিরপুর মিলন সঙ্ঘ: এ পুজোর থিম ‘আলোতে ছায়াতে রঙের মেলাতে’। বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। বিভিন্ন রঙের ওড়না, অ্যালুমিনিয়াম ও টিনের পাত এবং নানা আকারের আয়না দিয়ে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে।
থিমের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা।
খিদিরপুর মনসাতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি: থিম ‘মুছে যাওয়া ছেলেবেলা’। পুতুল, লাট্টু, বাচ্চাদের স্লেট, লাটাই, ঘুড়ি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমা সাবেক।
রামনগর পুলিশ ক্যাম্প দুর্গোৎসব কমিটি: মণ্ডপ পুরীর মন্দিরের ধাঁচে। চটের উপর থার্মোকল আর তার উপর প্লাস্টার অফ প্যারিস এবং রং স্প্রে করে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমা হোগলা পাতার।
গার্ডেনরিচ পঞ্চাননতলা পুজো কমিটি: ৭২ বছরের এই পুজোর প্রতিমা সাবেক। মণ্ডপ দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের ধাঁচে। ব্যবহার করা হচ্ছে মাদুর, চট ও থার্মোকল। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকছে আলোর ব্যবহার।
গার্ডেনরিচ মুদিয়ালি ফ্রেন্ডস ক্লাব: আঠারো বছরের এই পুজোও সাবেক। |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|