...সময় এল কাছে নীলকর-কাহিনি
বেহালা ব্রাহ্মসমাজ ক্লাব: এই ক্লাবে দেবীর দশ হাতে কোনও অস্ত্র থাকবে না। এই পুজোর থিম শান্তিরূপিণী মা। তাই উদ্যোক্তারা দেবীর হাতে কোনও অস্ত্র না
মুকুল সঙ্ঘ
রাখার পরিকল্পনা করেছেন। মণ্ডপের প্রবেশপথ হচ্ছে উড়ন্ত পাখির আকারে। মূল মণ্ডপটি হচ্ছে পদ্মের আকারে। দুর্গার কোলে থাকছে লক্ষ্মী ও সরস্বতী। মণ্ডপ গড়ার কারিগরেরা এসেছেন নদিয়া থেকে।

দেবদারু ফটক: পুজোর থিম ‘খড়ের কাজে দেবীর সাজে, বাঁশির সুরে হৃদয় নাচে।’ মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে খড় আর কাগজ। খড়ের বিভিন্ন কারুকার্য দিয়ে মণ্ডপে তুলে ধরা হবে কৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন কাহিনি।

মুকুল সঙ্ঘ: মণ্ডপ তৈরির কাজে বাঁশ, কাপড়, খড় ব্যবহার করা হচ্ছে না। পুরো মণ্ডপটিই তৈরি হচ্ছে লোহার কাঠামো দিয়ে। ব্যবহার করা হচ্ছে নাইলনের দড়ি আর বিভিন্ন রঙের নাইলনের নেট। প্রতিমার সাজেও থাকছে নাইলনের দড়ি ও নেট।
ব্রাহ্মসমাজ ক্লাব দেবদারু ফটক
পুঁটিয়ারি ইউনাইটেড ক্লাব: এই পুজোর থিম ‘পাট বাঁচাও’। রুগ্ণ পাটশিল্পকে বাঁচানোর জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে এই বিষয়টি বাছা হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। চটের মণ্ডপ জুড়ে থাকছে পাটের কারুকার্য।

পঞ্চাননতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব: বাঁশ, বাচ্চাদের খেলনা এবং বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৬৮ বছরের পুরনো এই পুজোর মণ্ডপ। মণ্ডপটি হচ্ছে পিরামিডের আদলে। প্রবেশপথে থাকবে গম্বুজ। পুজোর থিম ‘রঙে রঙে রংবাহার।’ প্রতিমাতেও থাকবে বিভিন্ন ধরনের রং। পুরো মণ্ডপ জুড়ে থাকছে বিভিন্ন রঙের কারসাজি।
ব্রাহ্মসমাজ ক্লাব মুকুল সঙ্ঘ
বেহালা ক্লাব: ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু, বিচিত্র বিচ্ছুরণে।’ এই ভাবনাকেই মণ্ডপসজ্জায় বাস্তবায়িত করছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। মণ্ডপ তৈরির মূল উপকরণ বাঁশ। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে বাঁশের বিভিন্ন কারুকার্য। আলোর ব্যবহার করে মণ্ডপের ভিতরে আলো-আঁধারি পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে উদ্যোক্তাদের।

বেহালা শক্তি সঙ্ঘ: মণ্ডপের ভিতরে থাকবে মাদুরের কারুকার্য। প্রতিমা সাবেক।
দেবদারু ফটক
রূপালি সঙ্ঘ: এই পুজোর সব দায়িত্ব সামলান মহিলারাই। ২০০৬-এ পাড়ার মহিলারা একত্রিত হয়ে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই থেকে চলে আসছে এই পজো। পুজোর চার দিন নানা রকমের প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.