...সময় এল কাছে নীলকর-কাহিনি
বাঙুর অ্যাভিনিউ প্রতিরোধ বাহিনী: আজ থেকে ১৫২ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল দীনবন্ধু মিত্রের নাটক ‘নীলদর্পণ’। সেই ভাবনায় সেজে উঠেছে বাঙুর অ্যাভিনিউ প্রতিরোধ বাহিনীর পুজো। মণ্ডপে ঢুকলেই দর্শনার্থীরা যেন পৌঁছে যাবেন কয়েক শতক আগের বঙ্গদেশে। দেখা যাবে নীলচাষ ও নীলকুঠি। নীলচাষিদের উপরে নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের কাহিনি ফুটে উঠবে বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে।

লেকটাউন নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব: এ বারের থিম বীরভূমের দুবরাজপুরের প্রায় অবলুপ্ত কুটিরশিল্প ‘সিউড়ি বউল’। এই শিল্পে কাঠ ও পিতলের টুকরো কেটে দেড় থেকে দু’ফুটের নানা নকশার পাত্র বানান শিল্পীরা। নেতাজি স্পোর্টিং-এর মণ্ডপে ব্যবহার করা হবে চার থেকে সাত ফুটের পাত্র।

লেকটাউন প্রদীপ সঙ্ঘ: এই পুজোর থিম ‘সৃষ্টিসুখের উল্লাসে’। মণ্ডপের আকৃতি অক্টোপাসের মতো। রোজকার ব্যবহার্য জিনিস দিয়ে তৈরি হবে মণ্ডপ।

লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ: পঞ্চাশ বছরের এই পুজো এ বার ফিরে যাচ্ছে পঞ্চাশ বছর আগের গ্রামবাংলায়। মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হবে গ্রামবাংলার প্রকৃতি, পালকি, গরুর গাড়ি, ঠাকুরবাড়ি সবই।

শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব: দক্ষিণ ভারতের মীনাক্ষী মন্দিরের আদলে ১০০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ। দেওয়াল জুড়ে থাকবে বড় বড় ঝাড়লন্ঠন।
বাগুইআটি রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাব জপুর ব্যায়াম সমিতি

জপুর ব্যায়াম সমিতি: মণ্ডপসজ্জায় থাকবে সাতটি পক্ষীরাজ ঘোড়া-সহ স্বর্গরথ। ঘোড়াগুলি তৈরি হবে কাস্ট আয়রন ও ফাইবার দিয়ে। রথে থাকবে গ্লাস পেন্টিংয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের ছবি। সঙ্গে আলোর খেলা।

প্রগতি পল্লি: কালিন্দী এলাকার এই পুজোর থিম ছত্তীসগঢ়ের লোকশিল্প। দমদম পার্ক ভারত চক্র: থিম ‘আলোর সন্ধানে’। মণ্ডপসজ্জায় থাকবে বিশাল সূর্য। তার জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হবে বর্ণময় জীবজগৎ।

দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ: জাপানি শিল্প অরিগ্যামিকে ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপে। কাগজ কেটে তৈরি হবে মণ্ডপসজ্জার উপকরণ।

দমদম পার্ক তরুণ দল: উলের তৈরি পদ্ম, শিউলি, মেঘ ও মাছ দিয়ে সেজে উঠবে মণ্ডপ। ৫০ ফুট উঁচু, ৩০ ফুট চওড়া উলের পদ্মফুলে ঢুকে প্রতিমাকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। থাকবে উলের মৎস্যকন্যাও।

দমদম পার্ক তরুণ দল বাঙুর অ্যাভিনিউ প্রতিরোধ বাহিনী
দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘ: রং, উৎসব, দুর্গা, সৃষ্টি ও মিলন। এই পাঁচের মেলবন্ধন হবে মণ্ডপে। প্রায় ১২০০টি জারের রং ব্যবহার করা হবে।

কেষ্টপুর মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘ: এই পুজোয় থাকবে পাটের নানা কাজ। মেদিনীপুরের কাঁথির শিল্পকর্ম তুলে ধরা হবে শোলা, পাট ও জরি দিয়ে।

দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ: কাগজ কেটে কেটে জাপানি শিল্প অরিগ্যামিকে ফুটিয়ে তোলা হবে।

দমদম পার্ক তরুণ দল: উলের তৈরি পদ্ম, শিউলি, মেঘ ও মাছ দিয়ে সেজে উঠবে মণ্ডপ। ৫০ ফুট উঁচু, ৩০ ফুট চওড়া উলের পদ্মফুলে ঢুকে প্রতিমাকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। থাকবে উলের মৎস্যকন্যাও।

দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘ: রং, উৎসব, দুর্গা, সৃষ্টি ও মিলন। এই পাঁচের মেলবন্ধন হবে মণ্ডপে। প্রায় ১২০০টি জারের রং ব্যবহার হবে।

কেষ্টপুর মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘ: এই পুজোয় থাকবে পাটের নানা কাজ। মেদিনীপুরের কাঁথির শিল্পকর্ম তুলে ধরা হবে শোলা, পাট, জরি দিয়ে।

কেষ্টপুর প্রফুল্লকানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দ: পুরো মণ্ডপ জুড়ে থাকবে বর্ণমালার কোলাজ। স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ ফুটিয়ে তোলা হবে আলো দিয়ে। দেওয়ালে স্লেট ও খবরের কাগজের কোলাজ।

কেষ্টপুর শিবকালী স্পোর্টিং ক্লাব: ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে মা-বাবাকে দেবতার স্থান দেওয়া হয়। এটাই এই পুজোর থিম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মডেলের সাহায্যে দেখানো হবে স্বর্গের দেবদেবীদের মা-বাবার প্রতি ভক্তিরসের কথা।
বাঙুর অ্যাভিনিউ প্রতিরোধ বাহিনী লেকটাউন নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব
বাগুইআটি রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাব: পাহাড়, জলাশয় ও ঝর্না দিয়ে সেজে উঠবে মণ্ডপ। প্রতিমা দেখার জন্য পাহাড় ও ঝর্না পেরিয়ে পৌঁছতে হবে ত্রিকালেশ্বরী মন্দিরে।

বাগুইআটি নির্ভীক সঙ্ঘ: গ্রামবাংলার নাটমন্দির দেখা যাবে রথের আদলে তৈরি মণ্ডপে। সাবেক প্রতিমা।

বাগুইআটি শাস্ত্রীবাগান স্পোর্টিং ক্লাব: বেত, বাঁশ ও কঞ্চি দিয়ে তৈরি মণ্ডপে বেতের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হবে নন্দলাল বসুর আঁকার
নানা প্রতিরূপ।

বাগুইআটি দক্ষিণপাড়া যুব পরিষদ: সাবেকিয়ানাই এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। সঙ্গে নানা অনুষ্ঠান।

বাগুইআটি দক্ষিণপাড়া সর্বজনীন: অন্যান্য বারের মতো থিমপুজো না করে সাবেক ঘরানায় পুজো হবে এ বছর।

বাগুইআটি সবর্র্জনীন দুর্গোৎসব: এলাকার প্রাচীন পুজো। পুরনো জমিদার বাড়ির দালানের অনুকরণে তৈরি হবে মণ্ডপ। ঢুকে প্রতিমাকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। থাকবে উলের মৎস্যকন্যাও।

ছবি: সুমন বল্লভ ও স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.