পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্য মামলা’র অভিযোগে ইংরেজবাজার থানা ঘেরাও করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে থেকে ওই ঘেরাও হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, কৃষ্ণেন্দু, তাঁর স্ত্রী সহ দুই কাউন্সিলর ও ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মারধর-ছিনতাই মামলা প্রত্যাহার করে আইসি-কে অপসারণ করতে হবে। ঘেরাওয়ের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উজ্জল চৌধুরী থেকে শুরু করে একাধিক কর্মাধ্যক্ষ, কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও ইংরেজবাজার পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর থানা ঘেরাও বিক্ষোভে অভিযানে সামিল হন। থানা ঘেরাও করে কংগ্রেসের নেতারা হুমকি দিয়েছেন, চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সহ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পর্যন্ত থানা ঘেরাও চলবে। পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “যে কোনও দল গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতেই পারে। তবে পুলিশ যা করছে আইন মেনেই করেছে। আগামী দিনেও আইন মেনেই কাজ করবে। অনুমতি না নিয়ে থানার সামনে কংগ্রেস ম্যারাপ বেঁধে বিক্ষোভ দেখায় বলে শুনেছি। আইসির রিপোর্ট চেয়েছি।” |
২০১১ সালে ২৩ জুন ছাত্র ভর্তিকে কেন্দ্র করে মালদহ কলেজে ছাত্রপরিষদ ও এসএফআইয়ের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সময়ে এসএফআইয়ের মালদহ কলেজ ইউনিটের সম্পাদক প্রসূন রায় পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী কাকলি দেবী, আরেক কংগ্রেস কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডু ও ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের বিরুদ্ধে মারধর, ভাঙচুর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রজু করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “কলেজে ছাত্রদের মধ্যে গোলমাল শুরু হলে অধ্যক্ষই আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমি যখন কলেজে গিয়েছিলাম তখন সদর মহকুমাশাসক ও জেলা পুলিশ প্রচুর আধিকারিকেরা ছিলেন। আমি যদি কাউকে মারধর করে ছিনতাই করে থাকি, তবে তখন কেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না? এক বছর পরে পুলিশ মারধর ও ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার অনুগামীদের হেনস্থা করছে।” |