বিয়ে নিয়ে গোলমালে ছেলেকে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগে পুলিশ বাবাকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে ইংরেজবাজার থানার মালদহ শহরের ২ নম্বর কলোনিতে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় (২২)। গত ১ অক্টোবর অভিষেককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বার হয়ে রাতে তিনি মারা যায়। দেহটি পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এর পরে মৃতের স্ত্রী মাম্পি পুলিশের কাছে বুধবার শ্বশুরমশাই-র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। রাতে মৃতের বাবা অশোকবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে গ্রেফতারের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইংরেজবাজার থানার আইসি জহরজ্যোতি রায় বলেন, “পুত্রবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত যুবকের বাবাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত অশোকবাবু পেশায় গাড়ির ব্যবসায়ীয়। তাঁর দুটি বিয়ে। প্রথম পক্ষের সন্তান অভিষেক। বিয়ের কয়েকবছর পর অভিষেকের মা’র সঙ্গে অভিযুক্তের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার পরে তিনি রুনা ঘোষ নামের আরেক মহিলাকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে অভিষেকের উপর অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে প্রতিবেশী মাম্পির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। ভালবাসার সেই সম্পর্কের সুবাদে বছর খানেক আগে রেজিস্ট্রি করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এই বিয়েতে অশোকবাবুর মত ছিল না। স্ত্রীকে বাড়িতে আনা নিয়ে বাবা’র সঙ্গে অভিষেকের মনোমালিন্য চলছিল। এমনকী, বাবা রাজি না থাকায় মাম্পিকে অভিষেক বাড়িতে আনতে পারেননি। মাম্পি দেবীর অভিযোগ, “দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই শ্বশুরমশাই স্বামীর উপর অত্যাচার করতেন। আমাকে বিয়ে করার কথা জানার পরে অত্যাচার বাড়িয়ে দেন। আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন। অভিষেক সব বলত। উনিই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন। পুলিশ সব জানিয়েছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে অশোকবাবু বলেন, “বাবা কী ছেলেকে খুন করতে পারে? সম্পত্তি হাতাতেই মেয়েটি ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি প্রথমে আপত্তি করলেও পরে তা মেনে নিয়েছিলাম। ২ নভেম্বর সামাজিক বিয়ে দেব বলেও ঠিক করি।” |