|
|
|
|
|
পুজোর সেরা মুখ কার?
কার আবার, আপনার! রাত জাগা, প্যান্ডেল চক্করের ক্লান্তি, খাওয়ার
বেনিয়ম
সত্ত্বেও, ত্বকের গ্লো’টি এতটুকু মলিন হবে না। ফেশিয়াল,
রূপটানের
এমনি
কেরামতি, জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা |
|
|
কিছু মানুষজন আছেন যাঁরা নিজেদের সকলের থেকে আলাদা ভাবতে ভালবাসেন, অর্থাৎ স্রোত বিরোধী সকলের যেটা পছন্দ সেটাই আমার ভাল লাগতে হবে এর আদৌ কোনও মানে আছে কি? এটাই তাঁদের জীবনদর্শন। পুজোয় বের হওয়া একটা পপুলার চয়েস, সুতরাং ওই ভিড়ে আমার বের হতে ভাল লাগে না এটি স্রোতবিরোধী মত। কিন্তু যখন বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসতে আরম্ভ করল, নর্থকে টেক্কা মেরেছে সল্টলেক, সল্টলেকের থেকেও ভাল হয়েছে দক্ষিণ শহরতলি, তখন? মনে হয়, গাড়িটা বার করে কত ক্ষণে বেরোব? হাতে দু’দিন, সকাল-সন্ধে বেরোলে মোটামুটি পুরো কভার করে ফেলতে পারব। আর, আসল কথা হল, পুজোয় না বেরোলে পুজোর স্পেশাল সাজ কেউ দেখতে পাবে না। এ লোভ ছাড়া যায়? |
|
আগে পুজো ছিল চার দিনের, এখন টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছয় দিনে। ভিড় এড়াতে অনেকেই পঞ্চমীর সন্ধে থেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যান। ফলে মুখে একটা কালো ছোপ পড়ে, আবার রাত জেগে ঠাকুর দেখলে ঘুম ঠিক হয় না, ফলে দু’চোখ ঘিরে ডার্ক সার্কল। এই সময় সারা দিন আপনি যত খুশি রেস্তরাঁয় খান, কিন্তু রাত্রিবেলায় হালকা খাওয়ার চেষ্টা করুন। শরীর ভাল থাকলে ত্বকও ভাল থাকবে। প্রতিদিন স্ক্রাব করুন কিন্তু একদম ঘষবেন না। স্ক্রাব করলে পোরস থেকে জমা ধুলোময়লা সমস্ত বেরিয়ে আসে। এর পর অ্যালোভেরা জেল-এর সঙ্গে দু’ফোঁটা মধু মিশিয়ে মাখলে ত্বক সতেজ থাকবে। গ্লো’টিও বজায় থাকবে। বাজারে অ্যালোভেরা জেল এখন সহজলভ্য। সারা দিন রোদে ঘুরে ঠাকুর দেখে বাড়িতে এলে মুখটা কালো লাগে। পিচ ফল ঘষে মুখে লাগালে এই কালিমা তখনই ভ্যানিশ হয়ে যাবে। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত ও ব্রণ আছে, তাঁরা এটি করবেন না। কম্বিনেশন (শুষ্ক ও তৈলাক্ত মেশানো) ত্বকের জন্য শশার রস ও ক’ফোঁটা গ্লিসারিনের মিশ্রণ খুব ভাল। এই রূপটানগুলি পুজোর দশ-পনেরো দিন আগে থেকে যদি ঘরে তৈরি স্ক্রাব এবং একটি প্যাক-এর সঙ্গে লাগান, তবে আপনার ত্বক পুজোর অত্যাচার সহ্য করতে পারবে। বাড়িতে বাদামগুঁড়ো বা আতা চটকে তার সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে লাগান। এ ছাড়া একটি ইউনিভার্সাল প্যাক আছে, অর্থাৎ সেটা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন। নিমেষে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আপেল ঘষে তার সঙ্গে সয়ামিল্ক মিশিয়ে রাখুন। তক্ষুণি কালো ভাব উঠে যাবে আর গ্লো ফিরে আসবে।
|
পুজোর আগে বিশেষ অরগানিক ফেশিয়াল |
যাঁরা একেবারেই কোনও রাসায়নিক পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্য এটি আদর্শ। |
প্রথম ধাপ অরেঞ্জ অয়েলযুক্ত ক্লেনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপ বাদামদানার সঙ্গে বেদানার রস মিশিয়ে স্ক্রাব করতে হয়,
হালকা হাতে। এক দম জোরে ঘষা উচিত না।
তৃতীয় ধাপ হালকা গরম জলে গোলাপ জল মিশিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলতে হয়।
চতুর্থ ধাপ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মাসাজ করা হয় এবং মাসাজের সময়
মরশুমি কোনও একটি ফলের রস মেশানো হতে পারে।
পঞ্চম ধাপ
একটি গজকে হার্বাল টি-র মধ্যে আগে থেকে ম্যারিনেট
করে ফ্রিজের মধ্যে রেখে, লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ষষ্ঠ ধাপ
সি-উইডজেল (সমুদ্রের তলায় পাওয়া যায়) লাগিয়ে কিছুক্ষণ
রাখা হয়। এটিকে পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন লাগানো হয়।
এই ফেশিয়ালটি পুজোর ঠিক দশ দিন আগে করলে ভাল হয়। |
|
সাক্ষাৎকার: কস্তুরী মুখোপাধ্যায় ভারভাদা |
|
|
|
|
|