মহকুমা হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজ দেখে খুশি হলেন না মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়। তিনি ওই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার সকালে রত্নেশ্বরবাবু ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত রায়কে নিয়ে ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ এসে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গা ও রন্ধনশালা ঘুরে দেখেন।
মহকুমাশাসক বলেন, “হাসপাতালের পরিবেশ আগের থেকে একটু উন্নত হলেও আরও অনেক বেশি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা দরকার।” হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদারের অবশ্য দাবি, “এখানে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাবে হাসপাতাল পরিস্কার রাখা সম্ভব হয় না।”
এ দিন হাসপাতাল পরিদর্শনের পাশাপাশি সুপারের সঙ্গে মহকুমাশাসক কয়েকটি জরুরি বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেক সময়ই দাবি করেন, কর্মীর অভাবে ঠিক মতো পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এ দিন সেই যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়ে রত্নেশ্বরবাবু বলেন, “আমার মনে হয়, আগে দেখা দরকার চিকিৎসক ও নার্সদের কেমন অভাব রয়েছে। কারণ, হাসপাতালের পরিষেবা চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মীর থেকে চিকিৎসক-নার্সদের উপরই বেশি নির্ভর করে। রোগীরা তাঁদের থেকেই বেশি পরিষেবা পান।”
হিমাদ্রিবাবু হাসপাতালে নার্সের অভাবের কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “হাসপাতালে নতুন চালু হওয়া ২০ শয্যার এসএনসিইউ বিভাগে দশজন নার্স নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও অবধি তা কার্যকর না হওয়ায় হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগ থেকে দশজনকে ওই বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বেড়েছে মহকুমা হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগে। এ দিকে সুপার জানিয়েছেন, এ দিন মহকুমাশাসকের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিল থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে কী ভাবে হাসপাতালের উন্নয়ন ঘটানো যায়।
তিনি বলেন, “ওই টাকা দিয়ে হাসপাতালের জন্য একটি জেনারেটর কেনা হবে। পাশাপাশি সদ্যোজাত শিশুদের জন্য একটি আলাদা বিভাগ খোলার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে ওই টাকা খরচ করা হবে।” |