|
|
|
|
বোনাস বাড়ানোর দাবিতে অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পুজোর বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে চা বাগানের কাজে যোগ না দিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন চা শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের নাগারাকাটা থানা এলাকার গ্রাসমোড় চা বাগানের শ্রমিকরা ৩১নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তবে তার আগে চা বাগান ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়। সেই সময় শিলিগুড়ি থেকে কালচিনিতে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার ও দীপা দাশমুন্সী। তাঁরাও প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধে আটকে থাকেন। তাঁরা পরে বাগান শ্রমিকদের বুঝিয়ে তাঁদের দাবি নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করার আশ্বাসও দেন। এর পরেই অবরোধ উঠে যায়। বেলা সাড়ে দশটা থেকে দুপুর একটা অবধি অবরোধ চলে। শঙ্করবাবু জানান, শ্রমিকদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তিনি বলেন, “অন্য সমস্ত বাগান ২০ শতাংশ হারে পুজোর বোনাস দেবে, সেখানে গ্রাস মোড় কর্তৃপক্ষ ১৬ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে পারবে না বলে জেনেছি। আমি এবং দীপা দাশমুন্সি প্রয়োজনে শুক্রবার চা বাগান কর্তৃপক্ষের সাথেও বৈঠকে বসব।” দীপা দেবী গ্রাস মোড় চা বাগানের উপদেষ্টা রূপক দেবের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বোনাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে রূপকবাবু বলেন, “গ্রাস মোড় চা বাগান গত কিছু মাস ধরে রুগ্ণ হয়ে পড়ায় শ্রমিকদের ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দীপা দাশমুন্সী শুক্রবার দেখা করতে চেয়েছেন। ওঁর সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা করব। কিন্তু বোনাসের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা থেকে সরে আসা আমাদের পক্ষে কঠিন হবে।” এদিকে কংগ্রেস নেতৃত্ব গ্রাস মোড় চা বাগান বোনাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে তাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধিই দেখছেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের স্থানীয় নেতারা। পরিষদের ডুয়ার্স সম্পাদক রাজেশ লাকড়া বলেন, “শঙ্কর মালাকার, দীপা দাশমুন্সি কাকতালীয় ভাবে পেয়ে যাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন। রুগ্ণ চা বাগান বলে সারা বছর শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হয়। বোনাসের বিষয়ে তাই রুগ্ণ হওয়ার যুক্তি আমরা মানব না।” |
|
|
|
|
|