হাসপাতাল নয়, সংখ্যালঘু ডাক্তার চাই: সিদ্দিকুল্লা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু উন্নয়নের নীতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এ বার তাঁদের হাতিয়ার রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু হাসপাতাল গড়ার উদ্যোগ।
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্দিকুল্লাদের নতুন ফ্রন্ট ইউডিএফের মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘু উন্নয়নে রাজ্য সরকার যে পদ্ধতিতে এগোচ্ছে, তার কড়া সমালোচনা শোনা গিয়েছে। ভাঙড়ে সংখ্যালঘুদের জন্য একটি পৃথক হাসপাতাল গড়ার জন্য সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় তৎপরতা শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রসঙ্গ তুলেই সিদ্দিকুল্লা এ দিন বলেছেন, “সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণ অনেক বেশি জরুরি। সংবিধানেই সেই সুযোগ আছে। হাসপাতালে শুধু সংখ্যালঘু রোগী থাকবেন, এ কি হয়? সংখ্যালঘু চিকিৎসক বা নার্স কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী বরং সংখ্যালঘুদের জন্য শিক্ষা, চাকরিতে সংরক্ষণের সুযোগ দিন। যাতে সংখ্যালঘু চিকিৎসক, নার্স তৈরি হয়। সংখ্যালঘুদের হাসপাতাল করার কথা বলে ধোঁকা দেবেন না!” বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও জনসংখ্যার অনুপাতে সংখ্যালঘুদের জন্য (আর্থিক অনগ্রসরতার ভিত্তিতে) সংরক্ষণ চেয়ে সরব ছিলেন সিদ্দিকুল্লারা। মমতার জমানাতেও বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি চলছে বলে তাঁদের অভিযোগ। ইমামদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলেছেন সিদ্দিকুল্লা।
সংখ্যালঘুর পাশাপাশি তফসিলি জাতি-উপজাতির দাবি নিয়েও আসরে নেমেছে সিদ্দিকুল্লাদের ফ্রন্ট। উদ্বাস্তু সমস্যা মেটানোর জন্য ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের দাবি তোলা হয়েছে এ দিনের সমাবেশে। পশ্চিমবঙ্গ যে ইদানীং কালে নারী পাচারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য মহিলাদের নিরাপত্তা নেই এই সব অভিযোগও তুলেছে তারা। আকাশভাঙা বৃষ্টির মধ্যেও এ দিনের জমায়েত হয়েছিল ভালই। তবে সিদ্দিকুল্লাদের অভিযোগ, সমাবেশে আসার পথে তাঁদের সমর্থকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। যে জন্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
একই অভিযোগ করেছে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদে তাদের ‘লালবাজার অভিযান’ এ দিন গোড়াতেই আটকে দিয়ে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছেই মিছিলকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ফ ব-র কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত রায়ের ক্ষোভ, “ধর্ষণকারীদের ছেড়ে প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করছে রাজ্য সরকার! মুখ্যমন্ত্রী নীল-সাদা রং মায়াবতীর কাছ থেকে, পতাকা কংগ্রেসের কাছ থেকে, নীতির কথা বামপন্থীদের কাছ থেকে ধার করে এ বার স্বৈরাচার ধার করছেন হিটলারের কাছ থেকে! গণতান্ত্রিক উপায়ে লালবাজারে পুলিশ কমিশনারের কাছে আমাদের দাবিপত্র দিতে যাওয়ার কর্মসূচি অগণতান্ত্রিক ভাবে আটকানো হল!” |