রাজ্যের নয়া বদলি-পদোন্নতি নীতিকে তোপ বিরোধীদের
রকারি কর্মীদের বদলি ও পদোন্নতি নিয়ে সরকার ‘পক্ষপাতিত্ব’ করছে। বাম আমলে এমন অভিযোগ বারবার করেছে তৎকালীন সরকার-বিরোধী কর্মী সংগঠনগুলি। এ বার সেই অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধেও। এখন যারা সরকার-বিরোধী, সেই সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রভাবিত কর্মী সংগঠনগুলি এক সুরে এই অভিযোগ তুলেছে।
জুনে সচিবালয়ের কর্মীদের নতুন বদলি নীতি ঘোষণা করে রাজ্য। বলা হয়, কর্মসংস্কৃতির স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও রাজ্যপালের দফতর ছাড়া বাকি দফতরগুলিতে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরতদের বদলি করা হবে। সেই নীতি মেনেই ২৫ বছরের বেশি একই দফতরে কর্মরতদের বদলির তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।
এই তালিকা নিয়েই আপত্তি তুলেছে সিপিএম প্রভাবিত রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির শাখা সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন এবং কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। দু’পক্ষেরই অভিযোগ, বদলি ও পদোন্নতি নিয়ে তাদের মতামতকে গুরুত্ব না-দিয়ে নতুন নীতি নিয়েছে সরকার। সেই নীতিকে সামনে রেখেই কয়েকটি সংগঠনের কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বেছে বেছে মহাকরণের বাইরে বিভিন্ন অফিসে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। আর তৃণমূলের কর্মী সংগঠন ফেডারেশন অফ সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজের কর্মীদের বদলি করা হয়েছে মহাকরণেরই এক দফতর থেকে অন্য দফতরে।
পশ্চিমবঙ্গ সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাণী মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। যাঁদের পদোন্নতি পাওনা, তাঁদের তা দেওয়া হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব কথা শুনছেন না। বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় ও সঙ্কেত চক্রবর্তী বলেন, “বদলির ক্ষেত্রে বয়স বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলিও বিবেচনা করছে না সরকার। এ-সবই করা হচ্ছে একটি সংগঠনের নির্দেশে।” ফেডারেশন অফ সেক্রেটারিয়েট এমপ্লয়িজের নেতা সঞ্জীব পাল অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “এমন পরিসংখ্যান আমার জানা নেই।” এক তৃণমূল নেতার পাল্টা অভিযোগ, “কো-অর্ডিনেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে এঁদের কোনও দিন মহাকরণের বাইরে বদলি করা হয়নি। ২৫ বছর বাদে বদলি হওয়ায় এখন চিৎকার করছেন!”

মিড-ডে মিল সঙ্কটে সিব্বলকে চিঠি
রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ায় স্কুলে মিড-ডে মিল প্রকল্প যাতে মার না-খায়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিব্বলকে চিঠি দিচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসের শিক্ষা সেল। বছরে গ্রাহকপিছু ভর্তুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের সংখ্যা কমানোয় স্কুলের মিড-ডে মিল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভর্তুকিপ্রাপ্ত সিলিন্ডারের কোটা পেরিয়ে গেলে যে দামে বাকি এলপিজি কিনতে হবে, সেই ব্যয়ে মিড ডে মিল চালানো নিয়ে সংশয় রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের শাখা সংগঠন শিক্ষা সেলের বৈঠকে বৃহস্পতিবার বিষয়টি আলোচনা হয়। সরাসরি গ্যাসের দাম কমানোর কথা না বললেও মিড ডে মিলের সমস্যার কথা জানিয়ে তারা সিব্বলকে চিঠি পাঠাচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.