কোথাও মালবাহী গাড়িকে বানানো হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স, কোথাও আবার গাড়ির নম্বর প্লেট নেই, কারও আবার বৈধ কাগজপত্রই নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার ক্যানিং-বাসন্তী, ক্যানিং-গোলাবাড়ি রুটে এমন অবৈধ যানবাহনের দাপটে জেরবার এলাকাবাসী। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। অথচ হেলদোল নেই প্রশাসনের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্লাব মালবাহী গাড়িকেই অ্যাম্বুল্যান্স হিসাবে ব্যবহার করছেন। এমনই এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা বলেন, “আমরা বর্ধমান আরটিও অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে এই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছি।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আরটিও অফিসার চপল বন্দোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন ধরনের মালবাহী গাড়িকে কখনই অ্যাম্বুল্যান্স হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। এটা একেবারে বেআইনি। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”
|
ক্যানিং-গোলাবাড়ি রুটে গাড়ির মালিকদের একাংশের অভিযোগ, এই রুটে চলা বেশ কিছু গাড়ির বৈধ কাগজপত্র নেই। রাজনৈতিক দলগুলির মদতে এই সব বেআইনি গাড়ির রমরমা। তাঁদের আশঙ্কা, যদি এমনভাবে চলতে থাকে তা হলে হয়তো রুটটাই বন্ধ হয়ে যাবে। এই রুটে নিত্য যাতায়াত করেন তুহিন সরদার, মণিদীপা রায়রা। তাঁরা বলেন, “এমনিতে এই রুটে অফিস টাইমে গাড়িতে যে ভাবে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয় তাতে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
ক্যানিংয়ের কংগ্রেস নেতা এবং এআইসিসি সদস্য অর্ণব রায় বলেন, “এই রুটে অধিকাংশ গাড়িই বেআইনি। রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগিয়ে গাড়ি চালানো ঠিক নয়।” ক্যানিং-১ ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি পরেশ দাস বলেন, “রুটে কয়েকটি গাড়ি বাদ দিয়ে প্রায় সব গাড়ি বেআইনিভাবে চলছে।” আরটিও চপলবাবুর বক্তব্য, বেআইনি সমস্ত গাড়ির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে। |