টুকরো খবর |
ঘাটালে জোটের পক্ষেই শুভেন্দু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
|
ঘাটালের সভায় বক্তা তৃণমূল সাংসদ। —নিজস্ব চিত্র। |
জল্পনা চললেও ঘাটাল পুরসভা থেকে এখনই সমর্থন তুলছে না তৃণমূল। বৃহস্পতিবার ঘাটাল পুরসভার মোড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সংস্কার বিরোধী তৃণমূলের এক সভায় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ঘাটাল পুরসভাকে সিপিএমের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাই আপনারা আসুনএকই ছাতার তলায় এসে ঘাটাল শহরকে এগিয়ে নিয়ে যাই।” বুধবার সবংয়ের সভায় শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন, ‘খড়্গপুর পুরসভায় কংগ্রেসের অনাস্থা আনার জবাব ঘাটালে এসে দেবেন।’ কেন্দ্র ও রাজ্যে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই জোট পরিচালিত পুরসভাগুলির হাল কী হবেতা নিয়ে জল্পনা চলছে। জোটের পুরসভা ঘাটালও রয়েছে সেই তালিকায়। বুধবারে সাংসদের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জল্পনা আরও বাড়ে। কিন্তু এ দিনের সভায় কংগ্রেসকে নানা ভাবে কটাক্ষ করলেও সমর্থন প্রত্যাহার করার মতো কোনও ইঙ্গিত দেননি তৃণমূল সাংসদ। তিনি শুধু বলেন, “খড়ারে, রামজীবনপুরে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু ঘাটাল এখনও পিছিয়ে। এখানে নিকাশি থেকে রাস্তাঘাট সবেরই অবস্থা খারাপ। উল্লেখযোগ্য কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না।” বৃহস্পতিবার ঘাটাল শহরে তৃণমূলের একটি মহামিছিল হয়। মিছিলে শঙ্কর দোলই, নির্মল ঘোষ, অজিত দে, দিলীপ মাঝি-সহ জেলার ও ব্লকের বহু নেতা যোগ দেন। পরে সভায় দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়-সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গড়বেতায় একটি অনুষ্ঠান সেরে শুভেন্দু অধিকারী ঘাটালের সভায় আসেন। |
ভূমি সংস্কার অফিসেও ‘সোয়ান’
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
যত দিন যাচ্ছে আধুনিক হচ্ছে যোগাযোগের মাধ্যম। প্রশাসনের সর্বস্তরে সমন্বয় বাড়াতে ব্লক থেকে রাজ্য, দ্রুক যোগাযোগের জন্যই গড়ে তোলা হয়েছিল ‘স্টেট ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক’ (সোয়ান)। তবে জেলায় সর্ব স্তরে তা প্রযুক্ত হয়নি। এতদিন পশ্চিম মেদিনীপুরে এই নেটওয়ার্কের আওতায় ছিলেন জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও বিডিওরা। এ বার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকেও ‘সোয়ান’-এর আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগেই সিংহভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই আমাদের অনুমান।” টেলিফোন, মোবাইল, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট সবই রয়েছে। এর মাধ্যমেই জেলা থেকে রাজ্যে প্রশাসনিক তথ্যের আদানপ্রদান হয়। কিন্তু নানা পরিকল্পনা বা পরামর্শের ক্ষেত্রে সরাসরি কথা বলার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রী বা আমলাদের জেলায় এসে বৈঠক করতে হয়। অথবা জেলার আধিকারিকদের কলকাতায় যেতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়। অথচ একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সকলকে জুড়তে পারলে ভিডিও সম্মেলনেই এই আলোচনা সম্ভব। এতদিন জেলা সাধারণ প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ও আমলাদের এ ভাবেই বৈঠক হত। তখন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের যেতে হত বিডিও বা এসডিও অফিসে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে যেতে হত জেলাশাসকের অফিসে। সোয়ান চালু হলে আর এই যাতায়াতের ঝঞ্ঝাট থাকবে না। সব পক্ষই নিজেদের অফিসে বসে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে আলোচনা করে নিতে পারবেন। এর ফলে বিভাগীয় কাজকর্মে অনেকটাই সুবিধে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। |
মেট্রনকে মারধরে গ্রেফতার তৃণমূলকর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
স্কুলে ঢুকতে বাধা দিয়ে মেট্রনকে মারধরের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সাধন ঘোষাল। তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত সাধনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে চন্দ্রকোনা থানার বগছড়ি গ্রামে নিজের বাড়ি থেকেই পুলিশ গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূলের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল সভাপতি উত্তম মণ্ডলকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের দাবি, অন্য অভিযুক্তেরা পলাতক। মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের বিষ্ণুদাসপুর বিবেকভারতী বিদ্যামন্দিরে মেট্রন পদে কাজে যোগ দেন ওই গ্রামেরই আইভি মান্না। আইভিদেবীর অভিযোগ, “নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে বলে আচমকাই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে স্কুলে আসতে নিষেধ করে তৃণমূলের পরিচালন কমিটি। এপ্রিল মাসে পরিচালন কমিটির সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপরেও আমাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। অনেক তদ্বিরের পরে অক্টোবর মাস থেকে পরিচালন কমিটি ফের কাজে যোগ দেওয়ায় সম্মতি দেয়।” সেই মতো বুধবার আইভিদেবী শ্বশুর উত্তম ঘোষাল এবং বাবা কৃষ্ণসুদাম মান্নাকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যান। অভিযোগ, আইভিদেবী স্কুলে ঢুকে যাওয়ার পরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা উত্তম মণ্ডলের নেতৃত্বে কিছু লোক তাঁর বাবা ও শ্বশুরকে মারধর করতে থাকেন। খবর পেয়ে আইভিদেবী বাধা দিতে এলে তাঁকেও মারধর করে হামলাকারীরা মোবাইল ও সোনার হার ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষক ভৈরব পণ্ডিত বলেন, “১ অক্টোবর থেকে আইভি মান্নাকে ফের কাজে যোগ দিতে বলে পরিচালন কমিটি। তবে বুধবার স্কুলে যাইনি। এই নিয়ে কিছু জানি না।” |
অস্ত্র-সহ গ্রেফতার সিপিএম কর্মী, সদস্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
দু’রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি হাত বোমা-সহ এক সিপিএম কর্মী ও এক সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে মোহনপুরের পদিমা গ্রাম থেকে তাঁদের ধরা হয়। মোহনপুর থানার আইসি জাফরুল মল্লিক বলেন, “ধৃতেরা আরও কয়েকজনের সঙ্গে স্থানীয় একটি দোকানে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলেন বলে শুনেছি। তাঁদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় গ্রামবাসীরা আটকে থানায় খবর দেন। এরপরেই পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা হলেন খোকন রাউল ও বিজয় মাইতি। খোকনের বাড়ি দাঁতনের পাঁচকনিয়া গ্রামে, বিজয় বামনদা গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক মাস ধরেই এই দু’জন পদিমা গ্রামের সিপিএমের শাখা কমিটির সদস্য ননীগোপাল ঘোষের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি নারায়ণ জানা এই দু’জনকে সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বচসা শুরু হলে সেখানে জড়ো হন পদিমা, বাংঝাটিয়া, পুখুরিয়া গ্রামের লোকজন। তারপরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তৃণমূলের মোহনপুর ব্লক সভাপতি প্রদীপ পাত্রের অভিযোগ, “সিপিএম নেতৃত্ব এলাকায় ঘুরে দাঁড়াতে বাইরে থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকেদের এনে তৃণমূলের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।” অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএমের দাঁতন জোনাল কমিটির সম্পাদক অনিল পট্টনায়েক ও মোহনপুর জোনাল কমিটির রমণীমোহন জানা। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, “বাড়িতে ঢুকতে না পেরে পদিমা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন ওঁরা। সিপিএমকে কোণঠাসা করতে এই মিথ্যা মামলা সজিয়েছে তৃণমূল।” |
গ্রন্থাগারের নতুন ভবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গড়বেতা টাউন গ্রন্থাগারের নতুন ভবনের উদ্বোধন হল বৃহস্পতিবার। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রন্থাগারের মূল ভবনটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। বারবার স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রন্থাগারের উন্নয়নের দাবিতে সরব হলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে নতুন ভবন পেল ওই পাঠাগার। আগামী দিনেও গ্রন্থাগারটির উন্নয়নে সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি গড়বেতার উন্নয়নেও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এতদিন ইচ্ছে থাকলেও মানুষ নিজেদের দাবি প্রকাশ্যে জানাতে পারতেন না। এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশে তা পারছেন। এ ভাবেই এলাকার উন্নয়নে সকলেই এগিয়ে আসুন।” এ দিনের এই অনুষ্ঠানে অবশ্য রাজনীতি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি শুভেন্দু। কৌশলে শুধু জানিয়েছেন, আগে গড়বেতায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। এখন তা ফিরেছে। শুভেন্দুর বক্তব্যের বেশিরভাগটা জুড়েই ছিল গ্রন্থাগারের কথা। তিনি বলেন, “আমি একটাই অনুরোধ করব, স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুরের অগ্রগণ্য ভূমিকার কথা সকলেরই জানা। নতুন প্রজন্মও যাতে সেই কথা জানতে পারেন সে জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কিত বই যাতে একটু বেশি রাখা হয়।” |
এগরা কলেজেও টিএমসিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
শেষ পর্যন্ত ডিএসও ও ছাত্র পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এগরা কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এগরা কলেজের ৩১টি আসনের মধ্যে ডিএসও ২৫ ও ছাত্র পরিষদ ৩০টি আসনে মনোনয়ন তুলেছিল। বৃহস্পতিবার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তারা অবশ্য মনোনয়ন জমা দেয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ দীপককুমার তামিলি জানান, টিএমসিপি-ই শুধু মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্রগুলি পরীক্ষা করা হবে। ডিএসও-র জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সত্যেন দাস বলেন, “টিএমসিপি ভয় দেখাচ্ছে। কলেজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। প্রতিবাদে আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি।” আর এগরা কলেজে ছাত্র পরিষদের কোনও ইউনিটই নেই জানিয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সাধনকান্তি উত্থাসনী ও তাপস পণ্ডা বলেন, “এগরা কলেজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বলে আমরা গত কয়েক বছর ধরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের নাম করে কেউ বা কারা মনোনয়ন তুলেছিল। এই ব্যাপারে আমাদের কোনও দায় নেই।” এগরা থানা জানিয়েছে, যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন ছিল কলেজে। কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি। টিএমসিপি-র এগরা কলেজ শাখার সভাপতি সুদীপ রায় বলেন, “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হার নিশ্চিত বুঝেই ওরা মুখ লুকিয়েছে। |
এক মলাটে ৬১ লেখক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
শহরের সাময়িকী ‘জ্বলদর্চি’ প্রকাশ করল বাংলা সাহিত্যের ৬১ জন লেখকের সংকলন ‘কেন লিখি’। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী নিজের দফতরে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। বইটিতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শঙ্খ ঘোষ, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শক্তিপদ রাজগুরু, মহাশ্বেতাদেবী, জয় গোস্বামী প্রমুখ লেখকদের নানা মেজাজের লেখা রয়েছে। বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘জ্বলদচির্’র সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠি, সঞ্জীব ভট্টাচার্য, লায়েক আলি খান, অভিনন্দন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। পত্রিকাটির শারদ সংখ্যাও প্রকাশিত হয় এই দিন। |
দুর্ঘটনায় জখম ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন তিন যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানপুর থানা এলাকার কাজলাগড়ে এগরা-বাজকুল রাস্তায়। ওই তিন মোটর সাইকেল আরোহীকে কাজলাগড় মোড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন। আহতদের তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিন যুবক বাজকুল থেকে ভগবানপুরে আসছিলেন। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটলতা অবশ্য জানতে পারেনি পুলিশ। |
কর্মবিরতিতে আইনজীবীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে কর্মবিরতিতে নামলেন এগরা আদালতের আইনজীবী ও তাঁদের সহযোগীরা। আইনজীবীদের পক্ষে মিলন দাস, পার্থসারথি রায়দের অভিযোগ, “ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষ হওয়ার আগেই রায় দিয়ে দেন। আইনজীবীদের হুমকি দেন। আপত্তিজনক আচরণ করেন। মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কাজ না হলে আরও বড় আন্দোলনে যাব।” ম্যাজিস্ট্রট শীতল পালের বক্তব্য, “কিছু মামলা ইচ্ছে করে টেনে রাখেন আইনজীবীরা। আমি আপত্তি করছি বলেই মিথ্যে অভিযোগ করছেন।” মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাসও বলেন, “আইনজীবীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবুও আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” |
স্ত্রীকে নির্যাতনে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে ধরল পুলিশ। এগরার আমদেই গ্রামের বাসিন্দা ধৃত সালিম খাকে বৃহস্পতিবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। তাঁর স্ত্রী নাজারা বিবির অভিযোগ, কর্মসূত্রে সালিম কেরলে থাকতেন। তিন বছরের বিবাহিত জীবন ও একটি মেয়ে থাকা সত্ত্বেও তিনি কেরলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। |
|