তিন দিনের মধ্যে দু’টি হ্যাটট্রিক করে ফেলা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে এখন ‘ধ্বংসাত্মক’ বলছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
সপ্তাহ দুই আগে চুক্তি নিয়ে নাকি ‘অখুশি’ ছিলেন তিনি। গত দু’ম্যাচে সি আর সেভেন ফের স্বমহিমায় ফিরতে রিয়াল মাদ্রিদও ছন্দে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার তারা ৪-১ হারাল আয়াখস আমস্টারডামকে। সেটাও আয়াখসে গিয়ে। রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিক ছাড়া রিয়ালের অন্য গোলটি করেন করিম বেঞ্জেমা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি রোনাল্ডোর প্রথম হ্যাটট্রিক হলেও রিয়ালের জার্সিতে ১৭টি হ্যাটট্রিক হয়ে গেল তাঁর। এই আয়াখস জোহান ক্রুয়েফের সময়ের আয়াখস নয়। রাইকার্ড-ফান বাস্তেনদের সময়েরও নয়। বার্গক্যাম্পের মতো প্রতিভাও আর নেই। তা-ও রিয়ালকে ৪২ মিনিট পর্যন্ত আটকে থাকতে হল আয়াখস গোলকিপার কেনেথ ভারমিয়েরের জন্য। বিরতির পরও বেশ কিছু গোল বাঁচালেন তিনি। রোনাল্ডো-কাকা-বেঞ্জেমারা এত আক্রমণ করছিলেন মনে হচ্ছিল, আয়াখসের মাঝমাঠই নেই। সেই সঙ্গে রিয়ালের প্রাপ্তি কাকা-র দুরন্ত ফর্ম। এ দিন রোনাল্ডোর একটি এবং বেঞ্জেমার গোলটি এল কাকার পাস থেকেই। |
হ্যাটট্রিকের পর । ছবি: রয়টার্স |
সি আর সেভেনের এক নম্বর: বিরতির ঠিক আগে রোনাল্ডোর ডান পায়ের আউটস্টেপের শট বাঁচানোর জায়গায় ছিলেন না আয়াখস গোলকিপার কেনেথ। বলটি সাজিয়ে দিয়েছিলেন বেঞ্জেমা। বাঁ দিক দিয়ে দৌড়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে কোনাকুনি পাস বাড়িয়েছিলেন তিনি।
সি আর সেভেনের দু’নম্বর: ৭৯ মিনিট। স্কোর ছিল ২-১। বক্সের বাইরে থেকে পর্তুগিজ তারকা যখন শটটা নিচ্ছেন তখন সামনে কয়েক জন ডিফেন্ডার। তাঁর ইনস্টেপের সোয়ার্ভিং শট দু’নম্বর পোস্ট দিয়ে ঢুকল। গোলকিপার আন্দাজ করতে পারেননি অতটা বাইরে দিয়ে বেঁকে বলটা ঢুকতে পারে। হ্যাটট্রিকের সেরা।
সিআরসেভেনের হ্যাটট্রিক গোল: আগের গোলের দু’মিনিটের মধ্যে তিন নম্বর গোল রোনাল্ডোর। স্যামি খেদিরার পাস ধরে আগুয়ান গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে সুন্দর চিপ। শিল্পের ছোঁয়া।
এর আগে ম্যাচের আর একটি সুদৃশ্য গোল উপহার দিয়েছেন বেঞ্জেমা। কাকার ক্রস যখন মাথার উপরে তখন হঠাৎই পিছন ফিরে ব্যাকভলি করেন ফরাসি স্ট্রাইকার। এতটাই জোর ছিল শটে যে গোলকিপারের মাথার ঠিক উপর দিয়ে গেলেও রিফ্লেক্সে তার নাগাল পাননি কেনেথ। এর পরে আয়াখস ২-১ করেছিল নিকলাস মোইসান্ডারের হেডে। কিন্তু তাতে প্রতিরোধ তৈরি করা যায়নি।
বুধবারের অন্যান্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বনাম ম্যাঞ্চেস্টার সিটির খেলা। ঘরের মাঠে ইনজুরি টাইমের পেনাল্টিতে বালোতেল্লি ড্র আদায় করেন জার্মান ক্লাবটির কাছ থেকে। ৬১ মিনিটে মার্কো রেউসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ডর্টমুন্ডই। ঘরের মাঠে আর্সেনাল দারুণ জয় পেল অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে। ৩-১ জয়ে গোলগুলি করেন জের্ভিনহো, পোডলস্কি এবং রামসে। মালাগা দুরন্ত খেলে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-০ জিতল অ্যান্ডারলেখটের বিরুদ্ধে।
এছাড়া ডাইনামো কিয়েভ ২-০ হারিয়েছে ডিনামো জাগ্রেবকে। পোর্তো ১-০ হারিয়েছে কার্লো আন্সেলোত্তির প্যারিস সাঁ জাঁকে। শালকে-মঁপেলিয়ের ২-২ ড্র হয়েছে। |