ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো বনাম অস্ট্রেলীয় মিলিটারি ইউনিট। শুক্রবার সেমিফাইনালে এই দুটো দল যদি নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারে, তা হলে ম্যাচটা যে কী হবে, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চয়ই পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা নিয়ে কাটাছেঁড়া করেছে। ওরা নিশ্চয়ই দেখেছে, কী ভাবে ভাল স্পিনের ফাঁসে আটকে গিয়েছিল অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং। আমি নিশ্চিত, ওয়েস্ট ইন্ডিজও নারিন, বদ্রি এবং স্যামুয়েলসকে ভাল মতো ব্যবহার করবে অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে।
অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ আরও একটা জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছে। একবার যদি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে শুরুতে নাড়িয়ে দেওয়া যায়, তা হলে ওদের ভাল মতোই ধাক্কা দেওয়া যাবে।
এ জন্যই আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ে ডেভিড হাসির থাকাটা এত জরুরি। উপমহাদেশের উইকেটে খেলার প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে ওর। ভাল স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আর এটাও জানে কী ভাবে উপমহাদেশের ভঙ্গুর পিচে বড় ইনিংস গড়তে হয়। আমি অবাক হব না যদি দেখি, ম্যাথু ওয়েডকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে পাঠিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনাকে এমন কিছু করতে হবে, যেটা প্রতিপক্ষ আগাম ভাবতেও পারবে না। হাফিজ যেমন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৮ ওভার স্পিনারকে দিয়েই বল করাল!
শেন ওয়াটসনের ফর্মটা কেমন থাকে, তার উপর অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে। অস্ট্রেলিয়ানরা ভাবতেই পারে, আগের ম্যাচে ওয়াটসন ব্যর্থ হওয়ায় এক দিকে ভালই হয়েছে, সেমিফাইনালে সেটা ও পুষিয়ে দেবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল ব্র্যাড হগ ছাড়া আর কোনও ভাল স্পিনার না থাকাটা। গেইল যদি একবার মারতে শুরু করে তা হলে কিন্তু পেস দিয়ে ওকে আটকানো যাবে না।
উল্টো দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্লো বোলিং ব্রিগেড কিন্তু মোটেও খারাপ নয়। নারিন, বদ্রি, স্যামুয়েলস তো আছেই। প্রয়োজনে গেইলও চমকে দিতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থকেরা অবশ্যই চাইবে একটা গেইল-টর্নেডো। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটার একটা বড় প্লাস পয়েন্ট হল, গেইল ব্যর্থ হলেও স্যামুয়েলস, ব্র্যাভো, পোলার্ড, রাসেল, চার্লসের মতো প্লেয়ার আছে। যারা নিজেদের দিনে ম্যাচ শেষ করে দিতে পারে। এই জন্যই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ক্যারিবিয়ান দলটা এত ভয়ঙ্কর। |