গন্ডার শিকারের পিছনে কেপিএলটি জঙ্গিদের হাত থাকার প্রমাণ মিলল। ধরা পড়ল দুই আত্মসমর্পণ করা জঙ্গি-সহ তিনজন। জানা গেল, ডিমাপুরের চোরা কারবারিদের সঙ্গে কার্বি জঙ্গিদের যোগসাজশে মারা পড়ছে গন্ডার। এর জেরে অসমের বনরক্ষীদেরও কপাল খুলতে চলেছে। পুরনো আমলের রাইফেলের জায়গায় তাঁদের হাতেও উঠতে চলেছে একে ৪৭, কার্বাইন।
গত সপ্তাহে কাজিরাঙায় ৫টি গন্ডারের মৃত্যু হয় শিকারিদের হাতে। এর মধ্যে একটি গন্ডারের দেহ থেকে একে ৪৭-এর বুলেট মিলেছিল। যা সাধারণ শিকারিরা ব্যবহার করে না। আজ বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন জানান, গন্ডার হত্যার ঘটনায় জিতেন বে ওরফে রকেট, ফ্রান্সিস মিলিক ও সুমবেমো লোথা নামে তিনজনকে ধরা হয়েছে। বে ও মিলিক কেপিএলটি জঙ্গি। তাদের দিফুর কাছে হাওড়াঘাট থেকে ধরা হয়েছে। লোথাকে গ্রেফতার করা হয় ডিমাপুর থেকে। রকিবুল বলেন, “একে ৪৭ ধারী জঙ্গিরা শিকারে নামলে সমস্যা। তাদের সঙ্গে যুঝতে বনরক্ষীদের হাতেও উন্নতমানের অস্ত্র তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানও চলছে।” মন্ত্রী জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বনরক্ষীদের জন্যও একে ৪৭, এসএলআর, কার্বাইন, পিস্তল আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। এ নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় এসএলআর এসেও পৌঁছেছে। শীঘ্রই বনরক্ষীদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে। এতদিন তাঁদের হাতে .৩১৫ বোর বা .৩০৩ বোরের রাইফেল থাকত। মন্ত্রী আরও বলেন, “আগে শিকারি মারলে বনরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ এমন কী গ্রেফতারও করত পুলিশ। এখন বনরক্ষীদের আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। চোরাশিকারী হত্যা করলে তাদের জেরার মুখে পড়তে হয় না।” সরকারের সমালোচনায় সরব যাঁরা তাঁদের উদ্দেশে রকিবুল বলেন, “গন্ডার হত্যা হলে রক্ষীদের নিন্দায় সরব হওয়ার আগে ভাবুন, গন্ডার বাঁচাতে কতজন রক্ষী প্রাণ দিয়েছেন।” |