|
|
|
|
ফের চালু হবে পুনর্বাসনকেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
রাজাভাতখাওয়া বন্যপ্রাণী রেসকিউ সেন্টার চালুর বিষয়ে উদ্যোগী হল রাজ্য বন দফতর। প্রায় ৭ বছর আগে রেসকিউ সেন্টারে চিতাবাঘদের মাদারিহাট রেসকিউ সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যায় বনদফতর। তার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে সেন্টারটি। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “রেসকিউ সেন্টার চালু করার বিষয়টি বন কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। আমরা সেন্টারটিকে চালু করতে আগ্রহী।” বন দফতরের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) সিতাংশু বিকাশ মন্ডল বলেন, “সেন্টারটি চালু করতে কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন। এরজন্য জাতীয় জু অথারিটির অনুমতি প্রয়োজন। সেন্টারটি পুনরায় চালুর জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি মিললে ফের খোলা হবে রাজাভাতখাওয়া সেন্টারটি।” বন দফতর সূত্রের খবর, এক সময় সারাবছর সেন্টারটিতে চিতাবাঘ, হরিণ, ময়ূর, ভালুক দেখতে ভিড় জমাতেন পর্যটক থেকে স্থানীয় স্কুল পড়ুয়ারা। লাগোয়া চা বাগান থেকে জখম চিতাবাঘ বা শাবক উদ্ধার করে এনে রাখা হত সেন্টারটিতে। ময়ূর এবং হরিণের জন্য বেশ খানিকটা খোলা জায়গা নিয়ে একটি বড় খাঁচা ছিল। ভালুক ও চিতাবাঘেদের জন্য বড় বড় খাঁচা ছিল। সেখানে জন্তুরা ঘুরে বেড়াত। রেসকিউ সেন্টারের নতুন কোনও সদস্য এলে খবর পেয়ে যেতেন সংল্গন এলাকার মানুষরা। খবর পেয়ে তা দেখতে পর্যটকেদের নিয়ে আসতেন পযর্টন সংস্থাগুলি। ৬-৭ বছর আগে পরপর কয়েকটি চিতাবাঘ অজানা কারণে মারা যায়। তার পর বাকি চিতাবাঘগুলিকে মাদারিহাট নিয়ে যাওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় রেসকিউ সেন্টারটি। বর্তমানে ডুয়ার্সের বক্সা জঙ্গলে ঘুরতে এলেও রেসকিউ সেন্টারে আগাছায় ভরে যাওয়া ফাঁকা খাঁচা ছাড়া কিছুই দেখতে পান না পর্যটকেরা। নর্থবেঙ্গল ফরেস্ট মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তথা রাজাভাতখাওয়ার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য জানান, রেসকিঊ সেন্টারটি এলাকার প্রাণকেন্দ্র ছিল। তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে পর্যটকরা এলাকায় ফাঁকা খাঁচা দেখে নিরাশ হন। আমরা বহুবার রেসকিউ সেন্টারটি চালু করার দাবি জানিয়েছি। খয়েরবাড়ি, মাদারিহাট, রসিকবিল এলাকায় চিতাবাঘ রাখা হলে কেন রাজাভাতখাওয়ায় চিতাবাঘ বা অন্য বন্য জন্তু রাখা যাবে না। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু জানান, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মত বড় জঙ্গল এলাকায় জখম বন্যপ্রাণীদের চিকিসার জন্য রেসকিউ সেন্টারের প্রয়োজন রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে রাজাভাতখাওয়া রেসকিউ সেন্টারটি পুনরায় চালু হলে জখম বন্যপ্রানীদের রেখে দ্রুত চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে। |
|
|
|
|
|