|
|
|
|
শুরুর আগে পণ্ড বোর্ড মিটিংয়ে হাজিরায় প্রশ্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
যে বোর্ড মিটিং শুরুর আগেই ‘পণ্ড’ হয়েছে, সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলররা হাজিরা নথিভুক্ত করালেন কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বামেরা। বুধবার শিলিগুড়ি পুর কমিশনার প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধানকে চিঠি দিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবি করেন বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম। রাজ্য পুর দফতরেও এ ব্যাপারে শীঘ্রই চিঠি পাঠাবেন তাঁরা। নুরুলবাবুদের অভিযোগ, ২ দিন পর বৈঠকের দিনের তারিখ উল্লেখ করে অন্যায়ভাবে হাজিরা খাতায় সই করেছেন ওই কাউন্সিলররা। তদন্ত হলেই তা প্রমাণিত হবে। পুর চেয়ারম্যান নান্টু পালের দল ত্যাগের প্রশ্নে কংগ্রেস এবং বাম কাউন্সিলরদের বিক্ষোভ, আপত্তিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিং শুরুর আগেই ভেস্তে যায়। ওই বৈঠকে গেলেও তাই ‘হাজিরা’ নথিভুক্ত করাতে পারেননি বলে দাবি করেন উপস্থিত কংগ্রেস এবং বাম কাউন্সিলররা। অথচ পুর কমিশনার-সহ ৪ জন আধিকারিক এবং তৃণমূল কাউন্সিলররা কী করে ওই দিনের হাজিরা খাতায় তাদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কংগ্রেসের তরফেও জানানো হয়েছে তাঁদের কাউন্সিলররাও হাজিরা নথিভুক্ত করাতে পারেননি। চেয়ারম্যান নান্টু পাল বলেন, “কাউন্সিলর এবং আধিকারিকদের ওই দিন বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই বৈঠকে এসেছিলেন অথচ হাজিরা খাতায় সই করেননি। তাঁরা ঠিক কাজ করেননি। পরে সই করা হয়েছে যাঁরা বলছেন তাঁদের কাছে প্রমাণ রয়েছে কি? তা ছাড়া পরিস্থিতির জেরে ওই দিনের বৈঠক মুলতুবি করা হয়েছে।” পুর কমিশনার জানিয়েছেন, আধিকারিক, কাউন্সিলরদের একাংশ হাজিরার বিষয়টি নথিভুক্ত করিয়েছেন। এর বাইরে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম জানান, হাজিরা নথিভুক্ত করাতে বৈঠকের মধ্যেই তাঁদের কাছে ‘রেজিস্ট্রার’ খাতা পাঠানো হয়। তাঁর অভিযোগ, “ওই দিন বৈঠক শুরুর আগেই পণ্ড হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছে রেজিস্ট্রার খাতা পাঠানো হয়নি। অথচ তৃণমূল কাউন্সিলররা দু’ দিন পরে অন্যায়ভাবে রেজিস্ট্রারে সই করেছেন।” বামেদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র পুরসভার পূর্ত মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “বিরোধী দলনেতা হিসাবে নুরুলবাবুর জানা উচিত সভাকক্ষে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কাউন্সিলররা ঢুকলেই বোর্ড মিটিং শুরু হয়েছে বলে ধরা হয়। এর পরেই রেজিস্ট্রার খাতায় সই করা যায়। মাঝ পথে কাউন্সিলরদের কেউ সভায় যোগ দিলে পরে চেয়ারম্যান বা পুরসভার প্রধান করণিক বা সচিবের কাছে গিয়ে সই করতে পারেন। অথচ নুরুলবাবুরা যা বলছেন তা ঠিক নয়।” চেয়ারম্যানের দল ত্যাগের প্রসঙ্গ নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার তাঁর পদত্যাগ চেয়ে পুরসভায় স্মারকলিপি দেবে বামেরা। |
|
|
|
|
|