ধান ও চাল কেনার ক্ষেত্রে টাকার টানাটানির মুখে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াল জাতীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ক (নাবার্ড)। চলতি খরিফ মরসুমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আপাতত ৩০০ কোটি টাকা ধার দেবে তারা। যে-সব সমবায় সংস্থা কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনবে, ওই টাকা পাবে তারাই। বৃহস্পতিবার নাবার্ড-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এই বছর দু’লক্ষ মেট্রিক টন বেশি চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে। কিন্তু সেই চাল কেনার টাকা রাজ্য সরকারের হাতে নেই। গত মরসুমে কেনা তিন লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চালও গুদামে জমে আছে। তার দাম ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। সেই চাল রেশনের মাধ্যমে বিলি না-হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র তার দাম দেবে না রাজ্যকে। বাধ্য হয়ে খাদ্য দফতর নাবার্ডের শরণাপন্ন হয়। তিন হাজার কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছে খাদ্য দফতর। তবে নাবার্ড আপাতত ৩০০ কোটি টাকা অগ্রিম দিতে রাজি হয়েছে। তবে নাবার্ড জানিয়ে দিয়েছে, তারা ওই টাকা খাদ্য দফতর বা রাজ্য সরকারকে দেবে না। টাকা দেবে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ককে। যে-সব সমবায় সংস্থা সারসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান-চাল কিনবে, তারা প্রথম পর্যায়ে ২০ কোটি টাকা অগ্রিম নিতে পারবে। পরবর্তী কালে টাকা দেওয়া হবে ধনা-চাল কেনার রসিদ দেখালে।খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “চলতি মরসুমে চাষিদের কাছ থেকে ধান-চাল কেনার জন্য নাবার্ডকে তিন হাজার কোটি টাকা দিতে অনুরোধ করেছি। তবে তারা জানিয়ে দিয়েছে, খাদ্য দফতরকে তারা টাকা দেবে না। দেবে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ককে।” মন্ত্রী জানান, গত বছর সমবায় সংস্থাগুলি চাষিদের যে-চেক দিয়েছিল, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ‘বাউন্স’ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ বার সেই সমস্যা মেটাতে সমবায় সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চেকে সই করার অধিকার দিতে হবে ব্লক স্তরের কোনও কর্মীকে। যাতে চেক ভাঙানোয় সমস্যা হলে ঘটনাস্থলেই সংশোধন করে দেওয়া যায়। কারণ, চাষিদের কাছ থেকে সব ধান-চালই কিনতে হবে চেকের মাধ্যমে। চাষিদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ ধান-চাল কেনা নিশ্চিত করতে চালকল থেকে লেভি কমানো হয়েছে। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২২ লক্ষ মেট্রিক টন। |