শিক্ষকের যোগ্যতা বাড়লে বাড়তি টাকা |
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের কোনও শিক্ষক কর্মরত অবস্থায় শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ালে বর্ধিত যোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বেতনক্রম দিতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, কোনও শিক্ষক যদি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে চান, তা হলে তাঁকে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমতি নিতে হবে। বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি তরুণ দাসের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে বলে, কোনও শিক্ষক পড়তে চাইছেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে চাইছেন, এটা প্রশংসার যোগ্য। এর জন্য অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরশিক্ষা মারফত কোনও শিক্ষক যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে নেন, তিনিও নয়া বেতনক্রমে পারিশ্রমিক পাবেন। সমীর সাহা নামে বর্ধমান বাণীপীঠ হাইস্কুলের শিক্ষক চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় স্নাতক ছিলেন। পরে তিনি ইতিহাসে এমএ পরীক্ষা দেন এবং পাশও করেন। তিনি নতুন বেতনক্রমের জন্য স্কুল পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেন। পরিদর্শক জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের ব্যয়সঙ্কোচ নীতির পরিপ্রেক্ষিতে বেশি যোগ্যতার শিক্ষককে নতুন বেতনক্রমে পারিশ্রমিক দেওয়া সম্ভব নয়। আবেদনকারীর আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, শিক্ষক নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ালে তাঁকে কোনও ভাবেই নতুন বেতনক্রম থেকে বঞ্চিত করা যায় না। শিক্ষকের যোগ্যতা বাড়লে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ আরও সুরক্ষিত হবে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, শিক্ষার স্বার্থেই শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে হবে।
|
পর্দার আড়ালে থেকেই ওঁরা এগিয়ে দেন সমাজটাকে। কখনও শিক্ষায়, কখনও খেলাধুলোয়, কখনও চিকিৎসায়, কখনও বা সাহসিকতায় নজির গড়েন নিজেদের মতো করে। নিঃশব্দে কাজ করে যাওয়া সেই মুখগুলোকেই পাদপ্রদীপের আলোয় আনতে আরও এক বার হাজির হল ‘অফিসার্স চয়েস আনন্দলোক সালাম বেঙ্গল’। গত তিন বছরের প্রয়াসে হাজারো মুখের ভিড় থেকে যারা ঢুঁড়ে এনেছে এমনই অনন্যসাধারণদের। দেখিয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছেন এমন অসংখ্য নীরব কর্মী। বুধবার শহরের একটি হোটেলে এই উপলক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে উদ্যোক্তারা জানালেন, এ বারও কলকাতা, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে হবে প্রতিযোগিতা। আগামী এক মাস নিজের বা পরিচিত কারও হয়ে আবেদন করা যাবে। প্রাথমিক বাছাই পর্বের পরে যাঁদের অবদানের সত্যতা যাচাইয়ের পালা। তার পরে অগ্নিমিত্রা পাল, সুব্রত মৈত্র, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, লোপামুদ্রা মিত্রেরা বেছে নেবেন তিন অঞ্চলের প্রতিটি ক্ষেত্রে সেরাদের। কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুরে সম্মানিত হবেন সেই সেরারা। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার বিচারকেরাও। |