|
|
|
|
এজেন্ট খুনে ডিওয়াইএফ নেতা ধৃত
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রামে বেসরকারি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট খুনের ঘটনায় এক ডিওয়াইএফ নেতাকে ধরল পুলিশ। ধৃত রবিশঙ্কর বারিক সংগঠনের ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ লোকাল কমিটির সভাপতি। বছর চব্বিশের এই যুবকের বাড়ি বাঁধগোড়ার খয়রাকাটা গ্রামে। পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার বাঁধগোড়া এলাকা থেকে ধরা পড়া রবিশঙ্করের কাছ থেকে নিহত স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট গিরীশ সহিসের (৪১) মোবাইলও পাওয়া গিয়েছে। বুধবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়।
ডিওয়াইএফের ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ জোনাল সম্পাদক মহাশিস মাহাতোর দাবি, “মূল অভিযুক্তদের আড়াল করতেই পরিকল্পিত ভাবে রবিশঙ্করকে ওই খুনের মামলায় জড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার একটি সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে যাওয়ার পথে রবিশঙ্করকে পুলিশ ধরে।” এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ধিক্কার-মিছিল করে সিপিএমের যুব-সংগঠন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বাঁধগোড়ার কিসমত-জামবেদিয়া গ্রামের বাসিন্দা গিরীশ সহিস ধান-জমিতে সেচের জল দিতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান। পরদিন সকালে ধানখেতের পাশে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। আশপাশে মেলে মাওবাদী-নামাঙ্কিত বেশ কিছু পোস্টার। এক সময় ডিওয়াইএফ
কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন গিরীশবাবু। পরে জনগণের কমিটির মিছিল-সভাতেও দেখা গিয়েছে
তাঁকে। তবে ইদানীং আর রাজনীতির সঙ্গে গিরীশবাবুর কোনও যোগ ছিল না বলেই তাঁর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের খবর। যদিও মৃত্যুর পরে গিরীশবাবুকে দলীয় সমর্থক বলে দাবি করে তৃণমূল।
গিরীশবাবুকে এ দিন নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে সিপিএমের ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ জোনাল সম্পাদক রবি সরকার অভিযোগ করেন, “ওই এলাকায় এখন সাংগঠনিক ভাবে সিপিএম ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে তৃণমূলের লোকেরাই গিরীশ সহিসকে খুন করেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সেই খুনের ঘটনায় আমাদেরই এক যুব নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, “এলাকায় অশান্তি ছড়াতে মাওবাদীদের নাম করে সিপিএমই আমাদের কর্মী গিরিশবাবুকে খুন করেছে।” পুলিশের দাবি, তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|