ফেড কাপ পর্ব ইতি। ঢাকে কাঠি এ বার আই লিগের। বুধবার সকাল থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। অনুশীলন শুরুর আগেই কোচের ভোকাল টনিক ফুটবলারদের। মনে করিয়ে দেওয়া, “ফেড কাপ অতীত, তোমাদের নতুন লক্ষ্য এখন আই লিগ।”
৭ অক্টোবর আই লিগের প্রথম ম্যাচ লাল-হলুদের। গোয়াতে প্রতিপক্ষ স্পোর্টিং ক্লুব। দল যাবে ৫ অক্টোবর। ফেড কাপের ‘হ্যাং ওভার’ কাটিয়ে চিডি, পেন, মেহতাবরাও প্রস্তুতিতে মগ্ন। ওপারা তো বলেই ফেললেন, “আমি দু’বার ফেড কাপ জয়ের স্বাদ পেলাম। কলকাতা লিগও জিতেছি। কিন্তু আই লিগ বারবার ফস্কে যাচ্ছে। এ বার আমাদের দল খুব ভাল ছন্দে রয়েছে। মনে হচ্ছে আই লিগটাও এ বার আমাদের।” পেন, চিডির গলাতেও একই সুর। “প্রথম দুটো অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকেই ছ’পয়েন্ট দিয়ে শুরু করতে চাই। দ্বিতীয় কোনও ভাবনা নেই আমাদের।” মেহতাব বলছিলেন, “আই লিগের সব দলই এ বার ভাল। তবে আমাদের এগিয়ে রাখবে টিম স্পিরিট, টিম এফোর্ট।” |
মিশন আই লিগ। যুবভারতীতে প্রস্তুতি শুরু মেহতাবদের। বুধবার।—নিজস্ব চিত্র |
গোয়াতে মোটামুটি ফেড কাপের দলই ধরে রাখতে চান লাল-হলুদ কোচ। নতুন নাম বলতে কেভিন লোবোর গোয়া যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রবিন সিংহকে নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ব্রিটিশ কোচ। তবে পরের অ্যাওয়ে ম্যাচে সিকিম ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি বুঝে দলে রাখা হতে পারে রবিনকে। প্রথম দু’টো অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে মর্গ্যানের প্রাথমিক লক্ষ্য চার পয়েন্ট। “প্রত্যেকটা দলই জেতার জন্য খেলে। তবে আমার প্রথম লক্ষ্য তিন পয়েন্ট না হারানো, তার পর আমি অল আউট ঝাঁপাব,” বলছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
আই লিগ চলাকালীনই আবার জাতীয় দলের ফুটবলার ছাড়তে হবে সিঙ্গাপুরের প্রদর্শনী ম্যাচের জন্য। এটা কতটা সম্যসার? কোচ অবশ্য এটাকে সমস্যা বলে মনে করছেন না। “শুধু আমাদেরই একা সমস্যা হবে এমনটা নয়। সব দলকেই ফুটবলার ছাড়তে হবে। জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা গর্বের। তবে, ফুটবলাররা চোট নিয়ে না ফিরলেই হল।”
আত্মবিশ্বাসী হলেও প্রথম ম্যাচে স্পোটির্ংকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ-ফুটবলার প্রত্যেকেই। মর্গ্যানের মতে, “স্পোর্টিং ভাল দল। গোয়ায় গিয়ে ওদের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাওয়াটা চ্যালেঞ্জের। তবে আমার ছেলেরাও প্রস্তুত।”
আই লিগের আলোচনার মাঝেও ঘুরে-ফিরে উঠে আসছে একটা নাম। টোলগে ওজবে। ফেড কাপের পর টোলগের অভাব কতটা অনুভব করল দল? ওপারার মতে, “টোলগেকে আমরা অবশ্যই মিস করি, এশিয়া কোটায় ও দলে থাকলে আরও ভাল হত। তবে, কারও জন্য কিছু পড়ে থাকে না। অভাবটা কেউ না কেউ পূরণ করেই দেয়।” মেহতাব, পেনরাও একমত।
টোলগে ছাড়াও ইস্টবেঙ্গল যে সুখী পরিবার তাঁর ছবিটা ধরা পড়ল আরও এক বার। সল্টলেকের একটি অভিজাত শপিং মলে। যেখানে মর্গ্যান-সহ মেহতাব, ইসফাক, লোবো, রাজু গায়কোয়াড়, রবিনরা মধ্যাহ্নভোজন করতে করতে আড্ডায় মশগুল। আড্ডার মাঝেই কোচের টিপস। এই সংহতিটাই তো লাল-হলুদের সাফল্যের চাবিকাঠি। |