সুনীল গাওস্কর: ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো উচিত বলে আমি মনে করি না। টিমের মাথাদেরও সরানোরও কোনও দরকার দেখছি না। মনে রাখা দরকার, কোনও অধিনায়ক বা কোচ ইচ্ছে করে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের পায়ে কুড়োল মারতে চায় না। ট্যাকটিক্যাল কিছু ভুল হচ্ছে। সেগুলো বরং দেখা দরকার। |
অনিল কুম্বলে: দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে অশ্বিনকে কেন এত পরে আনা হল বুঝতে পারছি না। ম্যাচ বাঁচাতে যখন তোমার হাতে পঁচিশ রান পড়ে, তখন তুমি তোমার টিমের সেরা বোলারকে আনবে? ধোনির এই সিদ্ধান্ত দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। তবে ভারতের এই বিপর্যয়ের পিছনে টপ অর্ডারের ব্যর্থতাও আছে। |
দিলীপ বেঙ্গসরকর: ভাগ্য ধোনির সঙ্গে ছিল না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন। স্কিলের চেয়ে এখানে বেশি দরকার পড়ে ভাগ্যের। |
রবি শাস্ত্রী: ধোনিকেই এখন নেতৃত্বে রেখে দেওয়া হোক। ও তো শেষ পাঁচ বছর যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে। এই হারের দায়িত্ব কোচ-অধিনায়ক-সহ গোটা টিমকে নিতে হবে। তবে এখনই আতঙ্কিত হয়ে পড়লে চলবে না। |
অজিত ওয়াড়েকর: আমার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আরও একজন স্পিনার নিয়ে নামা উচিত ছিল। বিশেষ করে যখন হরভজন সিংহ টিমে ফিরেছে। আমাদের ওপেনিং কম্বিনেশনও ক্লিক করল না। তবু বলব, ভারত সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্য ছিল। |
ওয়াসিম আক্রম: কলম্বোতে পাঁচটা ম্যাচ খেলে ফেলার পরেও ধোনি-ফ্লেচার ঠিকঠাক টিম মাঠে নামাচ্ছে বলে আমার কখনও মনে হয়নি। ওরা যে ভাবে প্রথম এগারো বাছছিল তা দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। উদাহরণ চান? দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হরভজনকে বাদ দেওয়া। |
চেতন শর্মা: অধিনায়ক হিসেবে হারের দায় নেওয়া উচিত ধোনির। তিন ফর্ম্যাটে নেতৃত্ব ও দিতে পারছে না। বোর্ডের উচিত অন্তত টি- টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে ধোনিকে সরানো। |
চেতন চৌহ্বান: আমি শুধু ধোনিকে নয়, গোটা টিমকেই দায়ী করব এই বিপর্যয়ের জন্য। তবে অধিনায়ক হিসেবে ধোনিকে এই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। |
|