নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাওড়ার বাকসাড়ায় পার্সেলবোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রায় কিনারা করে ফেলল হাওড়া সিটি পুলিশ। ব্যক্তিগত অক্রোশ মেটাতে ওই এলাকার বাসিন্দা চৈতালি সাঁতরার পরিচিত পড়শি এক যুবকই যে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সেই ব্যাপারে নিশ্চিত। তাকে আনতে বিশাখাপত্তনম গিয়েছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় টিকিয়াপাড়ায় তার তিন সঙ্গীকে আটক করেছেন গোয়েন্দারা।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ বাকসাড়ায় পার্সেলে পাঠানো উচ্চক্ষমতার বোমা বিস্ফোরণে চৈতালির মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন ওই মহিলার স্বামী হিমাংশু সাঁতরা। পুলিশ জানায়, চৈতালিকে খুনের জন্য তাঁর পড়শি যুবক স্থানীয় কয়েক জন দুষ্কৃতীকে ভাড়া করে। তাদের সঙ্গে দু’লক্ষ টাকায় রফা হয় তার। তদন্তের স্বার্থে এ দিন আটক তিন জনের পরিচয় জানাতে চাননি গোয়েন্দারা। ওই ঘটনায় আরও পাঁচ জন জড়িত। তাদের এক জন বাকসাড়াতেই বোমাটি বানিয়েছিল। সে ওড়িশায় আত্মগোপন করেছে। তার খোঁজে গিয়েছে সিটি পুলিশের একটি দল। অন্য চার জনেরও খোঁজ চলছে। যে-তিন জনকে এ দিন আটক করা হয়েছে, তাদের এক জন ক্যুরিয়ার সংস্থার লোক সেজে চৈতালির বাড়িতে গিয়েছিল।
পড়শি যুবক চৈতালিকে খুন করার ছক কষেছিল কেন?
পুলিশ জানায়, চৈতালির পরিচিত ওই যুবক পেশায় ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার। বধূ-নির্যাতনের অভিযোগে গত বছর পুজোর সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। ১৪ দিন জেল খাটার পরে ছাড়া পেলেও ওই যুবক এবং তার পরিবারকে এলাকা ছাড়তে হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপেই। আর এই পুরো ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের সঙ্গে ছিলেন চৈতালি। তাই তাঁর উপরে আক্রোশ ছিল ওই যুবকের। জেলে থাকার সময়েই হাওড়ার কিছু দুষ্কৃতীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তাদের সাহায্যেই চৈতালিকে পার্সেলবোমা দিয়ে খুনের ছক কষে সে। সিটি পুলিশের এক অফিসার জানান, বিশাখাপত্তনমে ওই যুবককে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। এ দিন তিন জনকে আটক করার পরেই পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে আনতে রওনা দেয়। |