|
|
|
|
গুজরাতে ভোট ১৩, ১৭ ডিসেম্বর |
গণতন্ত্রের অভিনব উৎসবকে স্বাগতবার্তা মোদীর
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর উত্থানের ভবিষ্যৎ সময়ই বলবে, আপাতত রাজ্যের মসনদ জয়ের মহাপরীক্ষাকে উৎসবের মেজাজে স্বাগত জানালেন নরেন্দ্র মোদী। ১৩ ও ১৭ ডিসেম্বর দু’দফায় গুজরাতে বিধানসভা ভোট হবে বলে আজ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ভোট গণতন্ত্রের সব চেয়ে বড় উৎসব। আমরা প্রকৃত উৎসবের মেজাজেই তাতে অংশ নেব। আমি ভোটের দিন ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি।” বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য হিমাচলপ্রদেশে ৪ নভেম্বর ভোট হবে বলেও আজ জানিয়েছে কমিশন। দু’রাজ্যেই ভোটগণনা ২০ ডিসেম্বর।
বিধানসভা নির্বাচনের জোরদার প্রচার মোদী বহু আগেই শুরু করেছেন। ‘স্বামী বিবেকানন্দ যুব বিকাশ যাত্রা’ নাম দিয়ে রাজ্য সফর করছেন। সনিয়া গাঁধীর বিদেশ সফরের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের সঙ্গে বাগ্যুুদ্ধেও নেমেছেন। ভোটের দিন ঘোষণার পর বিজেপি মুখপাত্র রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেন, “নিতিন গডকড়ীর সভাপতিত্বে সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সুশাসনের বিষয়টি পর্যালোচনার পর আমাদের বিশ্বাস, এই দুই রাজ্যে আমরাই ফের ক্ষমতায় আসব।”
আপাত জটিল রাজনীতি ছাড়াও কিছু অভিনব নজিরও রাখতে চলেছে দুই রাজ্যের ভোট। গুজরাতের গির অরণ্যে জুনাগড় জেলায় সপ্লেশ বিল্যাত গ্রামের একমাত্র ভোটার জনৈক গুরুভারত দাস। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পত জানান, শুধুমাত্র ওই ব্যক্তির জন্য ওই গ্রামে একটি আস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বসবে। না হলে তাঁকে ভোট দিতে যেতে হত প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে আর এক অ-সাধারণ ভোটকেন্দ্র পাবে লাহুল স্পিতি বিধানসভা কেন্দ্রের হিকম-ও। বিশ্বের উচ্চতম এই কেন্দ্রে ভোটদাতার সংখ্যা ৩৩৩। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের আশা, এই হিমাচলেরই যে বাসিন্দা ১৯৫১য় স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে ভোট দেন, ২০১২-র নির্বাচনেও তিনি বুথমুখো হবেন। সম্পতের কথায়, “রেকর্ড বলছে, দেশের প্রবীণতম ভোটার শ্যাম সারণ, বয়স ৯৫। কল্পায় থাকেন। আশা করি, এ বারও ভোট দেবেন।” |
|
|
|
|
|