|
|
|
|
সংসদে ঘরহারা তৃণমূল কংগ্রেস স্পিকারের দ্বারস্থ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের জেরে সংসদে ঘর হারাল তৃণমূল! সত্বর প্রতিবিধান চেয়ে আজ স্পিকার মীরা কুমারকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সংসদে ঘর না-পাওয়ার সমস্যা নতুন নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। গত তিন বছর ধরে দরবার করে যাওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের সংসদীয় দলের জন্য চিহ্নিত ঘরটি ছাড়েননি লালু প্রসাদ। গত লোকসভায় আরজেডি-র শক্তি যা ছিল, এ দফায় তার চেয়ে কমেছে। অন্য দিকে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। সেই সংখ্যার বিচারেই আরজেডি-র ঘরটি ইউপিএ-২ জমানায় তৃণমূলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদদের একটি দল এক বার সেই ঘর সরেজমিনে দেখেও এসেছিল। লালু তাঁদের চা খাইয়ে বিদায় দিয়েছিলেন।
ফলে দলীয় অফিসঘর না পেলেও, এত দিন রেলমন্ত্রীর প্রশস্ত ঘরটিতেই মিলিত হতেন দলীয় নেতারা। সেখানেই প্রয়োজনীয় বৈঠক, সংসদীয় রণনীতি নিয়ে আলোচনা হত। প্রয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হত ওই ঘরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী এবং মুকুল রায় পর্যন্ত সেই ট্র্যাডিশন চলেছে। কিন্তু তৃণমূল রেলমন্ত্রিত্ব ছাড়ার সঙ্গে সবেধন নীলমণি ঘরটিও চলে গিয়েছে।
এখন উপায়? আজ তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন স্পিকার মীরা কুমারকে। সংসদে ঘরের বিষয়টির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বিষয়েও দলের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের যে ছ’জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন তাঁদের যাতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি অথবা পরামর্শদাতা কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সে জন্যও আবেদন করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, প্রতিরক্ষা এবং অর্থের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট কমিটিতে প্রাক্তন মন্ত্রীদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হোক। সুদীপবাবুর কথায়, “রাজ্যসভা এবং লোকসভা মিলিয়ে তৃণমূলের মোট ২৮ জন সাংসদ। নিয়ম অনুযায়ী ২৮ জন সাংসদের দল ৪টি চেয়ারম্যানশিপ পেতে পারে। স্পিকারের কাছে সেই বিষয়টিও জানানো হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এখন শুধুমাত্র কয়লা ও ইস্পাত বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদটিই তৃণমূলের হাতে রয়েছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন সেই পদে।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এত দিন জোটের শরিক হিসেবে লক্ষ্য ছিল সরকারকে অস্বস্তিতে না ফেলা। কিন্তু এখন আর সে দায় রইল না। ফলে সংসদের ভিতরে সরকারের দুর্নীতি এবং জনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ন্যায্য পাওনাগণ্ডা আদায়েও সক্রিয় হবে তৃণমূল। অভিযোগ, তৃণমূল সর্ববৃহৎ শরিক দল থাকার সময়েও সাংসদরা প্রথম সারিতে আসন পাননি। এ বার যাতে তা দেওয়া হয়, সে জন্যও দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে স্পিকারের কাছে। |
|
|
|
|
|