|
|
|
|
বিদেশসফর নিয়ে বাগযুদ্ধে আমলই দিলেন না সনিয়া
সংবাদসংস্থা • রাজকোট ও নয়াদিল্লি |
এলেন, দেখলেন, বক্তৃতা করলেন গুজরাতের মাটিতে দাঁড়িয়ে। কিন্তু তাঁর বিদেশ সফর ও চিকিৎসার খরচ সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ নিয়ে উচ্চবাচ্যই করলেন না সনিয়া গাঁধী।
আজই গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এ দিনই রাজকোটের জনসভা দিয়ে গুজরাতে প্রচার শুরু করে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। গত বিধানসভা ভোটের আগে গুজরাতে এসেই মোদীকে ‘মওত কা সওদাগর’ বলেছিলেন সনিয়া। আর এ বার তাঁর বিদেশ সফর ও চিকিৎসায় ইউপিএ সরকার প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে মন্তব্য করে কংগ্রেসের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন মোদী। কিন্তু
সনিয়া নিজে আজ সেই অভিযোগ প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি। শুধু বলেছেন, “যখনই আমরা দেশের মানুষের স্বার্থে পদক্ষেপ করেছি, তখনই আমাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আক্রমণ এসেছে। আগেও আমরা তাকে পাত্তা দিইনি, ভবিষ্যতেও দেব না।”
সনিয়া বরং প্রশ্ন তুলেছেন মোদী সরকারের আমলে উন্নয়নের হাল-হকিকত এবং দুর্নীতি নিয়ে। বলেছেন, “গুজরাতের উন্নয়নে কংগ্রেস যা করেছে, তা আর কেউ করেনি।... এনডিএ আমলের চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি এ রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করেছে ইউপিএ সরকার।” সেই সঙ্গে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগেও বিঁধেছেন রাজ্য সরকারকে। আবার সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে কৃষক আত্মহত্যার প্রসঙ্গও ছুঁয়ে গিয়েছেন। তথ্যের অধিকার আইনের সূত্র ধরেই সনিয়ার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিকতম আক্রমণটি শানিয়েছিলেন মোদী। আর সনিয়া আজ বলেছেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে আমরাই প্রথম তথ্যের অধিকার আইন এনেছিলাম।... এরা (বিজেপি) তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়, শুধু আমাদের বিরুদ্ধে।”
কংগ্রেস সভানেত্রী চিকিৎসা-বিতর্ক এড়ালেও এ নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের একটি রায়ের কথা জানা গিয়েছে আজ। তথ্যের অধিকার আইনে সনিয়ার চিকিৎসার খরচ সম্পর্কে একাধিক মন্ত্রকের কাছে বিশদে জানতে চেয়েছিলেন নবীন কুমার নামে মোরাদাবাদের এক বাসিন্দা। গত ৩ মে সেই আবেদনের রায় দিতে গিয়ে মুখ্য তথ্য কমিশনার সত্যানন্দ মিশ্র জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সভানেত্রীর চিকিৎসার খরচ বাবদ কোনও বিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির কাছে জমা পড়েনি। মন্ত্রকগুলিও ওই খাতে কোনও খরচ করেনি। তিনি এ-ও বলেন, “যদি কোনও ব্যক্তি দেশে কিংবা বিদেশে নিজের চিকিৎসা করান, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তথ্য জানার অধিকার আইনে কখনই এ বিষয়ে জানতে চাওয়া যায় না।”
সনিয়া অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি মোদীর ফাঁদে পা দিতে নারাজ। তাই আমলই দেননি তাঁর উস্কে দেওয়া বাগযুদ্ধে। |
|
|
|
|
|