|
|
|
|
নয়াচর শিল্পহাবের আজই হয়তো যাত্রা শেষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে পশ্চিমবঙ্গের নয়াচরে পেট্রো-রসায়ন শিল্পতালুক গড়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। আগামিকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
২০০৯ সালে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানায় গুজরাত ও অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নয়াচরে পেট্রো-রসায়ন শিল্পতালুক গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু বিরোধী নেত্রী থাকার সময় এই প্রকল্পে দূষণ হবে, এমন অভিযোগ তুলে শিল্পতালুকটির বিরোধিতা করেছিলেন মমতা। তাঁর প্রস্তাব ছিল, নয়াচরে বরং একটি ইকো-পার্ক গড়া হোক। ক্ষমতায় আসার পরেও মমতা কেন্দ্রকে এই প্রকল্প বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেন। কেন্দ্র তা মেনে নিয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সরকার চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে এই প্রকল্প বাতিল করতে বলে। সেপ্টেম্বরে রাজ্যকে পাল্টা চিঠি দিয়ে সে ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। আগামিকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তারই অনুমোদন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিন বছর আগে মন্ত্রিসভাই এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল। তাই সিদ্ধান্ত পাকাপাকি বাতিলের দায়িত্বটাও তাদেরই। |
|
পেট্রো-রসায়ন শিল্পতালুক বাতিল করা হলেও নয়াচরে ইকো-পার্ক হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায় এই প্রকল্পটির কর্ণধার। পরিবেশ মন্ত্রক প্রসূনবাবুদের সংস্থাকে এর মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। সে ব্যাপারে এখন জবাব দিচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য চাইছে, এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠুক। তার পাশাপাশি একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ারও ইচ্ছে ছিল প্রসূনবাবুদের। পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল এলাকা ঘুরে দেখে কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তুলেছে। প্রসূনবাবুরা তারই জবাব দিচ্ছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় পেট্রো-রসায়ন শিল্পতালুকটির অনুমোদন পেতে কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিলেন তৎকালীন শিল্পসচিব সব্যসাচী সেন ও রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর নন্দিনী চক্রবর্তী। সেই অনুমতিই সম্ভবত কাল বাতিল হবে। |
|
|
|
|
|